আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরা বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার রাজ্যে ২৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫১১ জন ভোটার ইভিএমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ত্রিপুরায় এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৮৪ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ১২ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৬৪ জন, মহিলা ১২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭০৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪২ জন ভোট দিয়েছেন। সেই হিসেবে ইভিএমে ভোট পড়ল ৮৭.৬৩ শতাংশ। ত্রিপুরায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রের খবর, সার্ভিস ভোটার এবং পোস্টাল ব্যালট মিলিয়ে আরও দুই শতাংশের অধিক ভোট যুক্ত হবে।
নির্বাচন দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১-সিমনা(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.৯৬ শতাংশ, ২-মোহনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.৩০ শতাংশ, ৩-বামুটিয়া(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.৫১ শতাংশ, ৪-বড়জলা(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.০১ শতাংশ, ৫-খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৬.৫১ শতাংশ, ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৪.১৩ শতাংশ, ৭-রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮0 শতাংশ, ৮-টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে ৭৯.৯৪ শতাংশ, ৯-বনমালিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮০.৫১ শতাংশ, ১০-মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.৫০ শতাংশ ভোট ইভিএমে পড়েছে।
তেমনি, ১১-মান্দাইবাজার(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.২৬ শতাংশ, ১২-টাকারজলা(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.৪৯ শতাংশ, ১৩-প্রতাপগড়(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.৪১ শতাংশ, ১৪-বাধারঘাট(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.৭০ শতাংশ, ১৫-কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.৪২ শতাংশ, ১৬- বিশালগড় বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৯.৯২ শতাংশ, ১৭-গোলাঘাটি(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৯.৮১ শতাংশ, ১৮-সূর্যমণিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.৫০ শতাংশ, ১৯-চড়িলাম(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৯.২৯ শতাংশ এবং ২০-বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.৭৮ শতাংশ ভোট ইভিএমে পড়েছে।
একইভাবে, ২১-নলছড়(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.৬০ শতাংশ, ২২-সোনামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.০৪ শতাংশ, ২৩-ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.৫১ শতাংশ, ২৪-রামচন্দ্রঘাট(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৯.৩৪ শতাংশ, ২৫-খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রে ৯১.১৯ শতাংশ, ২৬-আশারামবাড়ি(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.২৪ শতাংশ, ২৭-কল্যাণপুর-প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৯.৮০ শতাংশ, ২৮-তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৬.৮৩ শতাংশ, ২৯-কৃষ্ণপুর(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.৯৫ শতাংশ, ৩০-বাগমা(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.৮২ শতাংশ ভোট ইভিএমে পড়েছে।
এদিকে, ৩১-রাধাকিশোরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.০৭ শতাংশ, ৩২-মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৯.১৬ শতাংশ, ৩৩-কাকড়াবন-শালগড়া(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.৫৮ শতাংশ, ৩৪-রাজনগর(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৮.৮৫ শতাংশ, ৩৫-বিলোনীয়া বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.২৯ শতাংশ, ৩৬-শান্তিরবাজার(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.৬৪ শতাংশ, ৩৭-ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০.২৫ শতাংশ, ৩৮-জোলাইবাড়ি(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৯১.৭৮ শতাংশ, ৩৯-মনু(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৯২.০৯ শতাংশ এবং ৪০-সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট পড়েছে ৯০.৬৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, ৪১-অম্পিনগর(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৬.৯১ শতাংশ, ৪২-অমরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৯.০০ শতাংশ, ৪৩-করবুক(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৯.৫৭ শতাংশ, ৪৪-রাইমাভ্যালি(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.৮৬ শতাংশ, ৪৫-কমলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৬.০৬ শতাংশ, ৪৬-সুরমা(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৬.৬০ শতাংশ, ৪৭-আমবাসা(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.৬৫ শতাংশ, ৪৮-করমছড়া(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.৯৩ শতাংশ, ৪৯-ছামনু(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৬.৬৮ শতাংশ এবং ৫০-পাবিয়াছড়া(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.৬৬ শতাংশ ভোট ইভিএমে পড়েছে।
তেমনি, ৫১-ফটিকরায়(এসসি) বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৭.৪৬ শতাংশ, ৫২-চন্ডিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৬.০৭ শতাংশ, ৫৩-কৈলাসহর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮১.৫৪ শতাংশ, ৫৪-কদমতলা-কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৪.৬৫ শতাংশ, ৫৫-বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৩.১৪ শতাংশ, ৫৬-ধর্মনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৩.৫৬ শতাংশ, ৫৭-যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৬.৭৩ শতাংশ, ৫৮-পানিসাগর বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৩.৫৮ শতাংশ, ৫৯-পেঁচারথল(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ইভিএমে ৮৪.২৭ শতাংশ এবং ৬০-কাঞ্চনপুর(এসটি) বিধানসভা কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটদানের হার ৮১.২২ শতাংশ।প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে ১৯৯৩ সালে ৮১.১৮ শতাংশ, ১৯৯৮ সালে ৮০.৮৪ শতাংশ, ২০০৩ সালে ৭৮.৭১ শতাংশ, ২০০৮ সালে ৯১.২২ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৯৩.৫৭ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ৯১.৩৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে সর্বমোট ভোটের হার ৯০ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইভিএমের ভোটের সাথে সার্ভিস ভোটার ও পোস্টাল ব্যালট মিলিয়ে আরও দুই শতাংশের অধিক ভোট যুক্ত হবে।