BRAKING NEWS

ADC turned into employment : রাজনৈতিক স্বার্থে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালানোর বদলে বাম আমলে এডিসি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিনত হয়েছিল : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালানোর বদলে বাম আমলে এডিসি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিনত হয়েছিল। তাই, এডিসির জন্য অধিকাংশ অর্থই কর্মচারীদের বেতন খাতে খরচ হচ্ছে। আজ বিধানসভায় বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং-র উল্লেখ পর্বে আনা নোটিশের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ-কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তাঁর কথায়, পূর্বতন সরকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এডিসি প্রশাসনে নিয়োগে চাকুরীর অফার বিলি করেছে। ফলে, উন্নয়নের জন্য অর্থের ঘাটতি সর্বত্রই দেখা দিত। কারণ, অধিকাংশ অর্থই কর্মচারীদের বেতন খাতে খরচ করতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থে ভবিষ্যতের চিন্তা ছেড়ে দিয়ে পূর্বতন সরকার চাকুরী দিয়ে গেছে। বর্তমানে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার এডিসি এলাকার উন্নয়নে কাজ করে চলেছে।


এদিন বিধানসভায় ত্রিপুরা উপজাতি স্ব-শাসিত জিলা পরিষদ এলাকায় জনজাতিদের সার্বিক কল্যানার্থে রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলি সঠিকভাবে রূপায়ন করার বিষয়টি আরও ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং-র উল্লেখপর্বে আনা নোটিশের জবাবে  জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া বলেন, জনজাতিদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্যের বর্তমান সরকার কাজ করছে। রাজ্যের বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে জনজাতিদের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার ১ বছরের মধ্যেই ১৮টি একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুল স্থাপনের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এরপর আরও ২টি খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলি স্থাপিত হলে রাজ্যের জনজাতিরা দারুণভাবে উপকৃত হবেন।


ওই নোটিশের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় জনজাতিদের বর্তমান সরকারের উপর বিশ্বাস রয়েছে। সরকার নিষ্ঠার সাথে জনজাতিদের উন্নয়নে কাজ করছে। তাদের শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন রাজ্যের জনজাতিদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের কারণে এই এলাকার উন্নয়ন দারুণভাবে ব্যাহত হয়েছে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর মিজোরাম থেকে উচ্ছেদ হওয়া রিয়াংদের দীর্ঘ বছরের সমস্যার যেভাবে সমাধান হয়েছে তা অভাবনীয়। তেইশ বছর পর তাদের স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


তাঁর কথায়, এই প্রথমবার এডিসি এলাকার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১,৩০০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, জনজাতিদের উন্নয়নের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। জনজাতিদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গন্ডাছড়ায় পূর্ত দপ্তরের ১টি ডিভিশন খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে কিষাণ সম্মাননিধি যোজনায় যারা জমির পাট্টা পেয়েছেন তারা বছরে ছয় হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। শুধুমাত্র ত্রিপুরার জন্য এই প্রকল্পটির কিছু বিষয় সংশোধন করা হয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, জনজাতিদের কল্যাণে যখন যে বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সাথে সাথেই তাঁরা তার সমাধান করে দিয়েছেন। কাইপেং সম্প্রদায় থেকে একজনকে এডিসির মনোনীত সদস্য করা হয়েছে। সমাজের একেবারে অন্তিম ব্যক্তির জন্যও যে এই সরকার কাজ করছে তা তারই দৃষ্টান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *