BRAKING NEWS

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি রূপায়ণ ও জনকল্যাণে ত্রিপুরা সরকার প্রশংসনীয়ভাবে কাজ করছে : কেন্দ্রীয় বন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ সেপ্টেম্বর ।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিত পথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি এখন উন্নয়নের পথে হাঁটছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি রূপায়ণ ও জনকল্যাণে ত্রিপুরা সরকারও প্রশংসনীয়ভাবে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে আজ রাজ্য অতিথিশালা সোনারতরীতে আয়োজিত এক সভায় এই কথাগুলি বলেন।

রাজ্য সরকারের বন এবং খাদ্য, জনসংভরণ ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের যৌথভাবে আয়োজিত এই সভাতে বনমন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা, খাদ্য, জনসংভরণ ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, মুখ্যসচিব কুমার অলক, পিসিসিএফ ড. ডি কে শর্মা, খাদ্য দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীচৌবেকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যে রাজ্যের বন ও জৈব বৈচিত্র্যের পাশাপাশি বন দপ্তরের উদ্যোগে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত করানো হয়। স্মৃতিবন, বন মিত্র, আগর গাছের বাণিজ্যিকীকরণ, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা সহ বিভিন্ন কর্মসূচির উপর আলোকপাত করতে গিয়ে জানানো হয় যে, জনগণকে আর্থিকভাবে লাভবান করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় বন দপ্তর এখন পর্যন্ত বিনামূল্যে ৯২৪ লক্ষ আগর, গোলমরিচ, য়ংচাক, কাঁঠাল, সাজনা ১.৮৫ লক্ষ পরিবারের (পরিবার পিছু ৫টি করে) মধ্যে বিতরণ করেছে। এই কর্মসূচিতে প্রতি বছর ২ লক্ষ পরিবারকে আগামী তিন বছরের জন্য যুক্ত করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী চৌবে আগর সহ অন্যান্য মূল্যবান কাঠ ত্রিপুরার বাইরে বাণিজ্যিকীকরণের সাপেক্ষে বর্তমানে যে নিয়ম নীতি রয়েছে সেগুলি কিছুটা সরলীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই বিষয়ে মন্ত্রক প্রয়োজনীয় উদ্যোগে নেবে।

সভায় খাদ্য, জনসংভরণ ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের পক্ষ থেকে দপ্তরের উদ্যোগে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে মন্ত্রী শ্রীচৌবেকে অবগত করানো হয়। সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনায় রাজ্যে গড়ে ৯৮ শতাংশ কভার করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রী মন্ত্রী শ্রীচৌবে রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্পেশাল রিলিফ স্কিম সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবগত করানো হয়৷ এই স্কিমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে ৭.১৩ লক্ষ পরিবারকে যুক্ত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বন ও বণ্যপ্রাণী রক্ষায় যে ২ জন ফরেস্টার জীবন উৎসর্গিত করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীচৌবেকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। মন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা ও মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব তার হাতে এই স্মারক উপহারগুলি তুলে দেন। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীচৌবে রাজ্য অতিথিশালা চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *