BRAKING NEWS

Police seized a large quantity of dried cannabis : জাতীয় সড়কে লরি আটক করে প্রচুর পরিমাণ শুকনো গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ সেপ্টেম্বর।। মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ এবং সি.আর.পি.এফ ৭১ নং ব্যাটালিয়নের বি.কোম্পানির জওয়ানরা বুধবার সাত সকালে জাতীয় সড়কে একটি লরি আটক করে প্রচুর পরিমাণ শুকনো গাঁজা উদ্ধার করেছে। লরি চালককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রাজ্যে দিন দিন সক্রিয় হচ্ছে নেশা কারবারী ও নেশা পাচারকারীরা। তাদের পাকড়াও করতে সর্বদা রাজ্যের পুলিশ কর্তব্য পালন করলেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে একাংশ নেশা কারবারিরা তাদের নেশা সাম্রাজ্য বিস্তার করে চলছে।চম্পকনগর আউটপোস্ট , জিরানিয়া, রানির বাজার সহ তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ এবং তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক দপ্তরের কর্মীরা যখন দিবা নিদ্রায় ব্যস্ত তখন মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ এবং সি.আর.পি.এফ ৭১ নং ব্যাটালিয়নের বি.কোম্পানির জওয়ানরা বুধবার সাত সকালে গোপন খবরের ভিত্তিতে দূরপাল্লার লরিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করল ছোট-বড় ৪৫ টি প্যাকেট সহ ৩১৭ কে.জি শুকনো গাঁজা।


যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। আটক করা হয় গাড়ির চালক সত্যবান সিংকে। তার বাড়ি বহিঃ রাজ্যে।ধৃত গাড়ির চালক সত্যবান সিংকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়,, তার গাড়ির আগে তাকে একটি ডিজাইর গাড়ি রওয়়ানা হয় সেই গাড়িতে কিনা গাঁজা পাচারের মূল পান্ডা ।সেই গাড়ির চালক ওই দূরপাল্লার লরিটিকে ফলো করে নিয়ে যাচ্ছিল। যার গাড়ির নম্বর TR01 0530। সে এও জানায়, এই গাঁজা পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে তার মালিকও জড়িত রয়েছে।তবে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এই গাড়িটিকে পাকড়াও করতে ব্যর্থ এবং পরবর্তী থানাকেও এই গাড়ির ব্যাপারে অবগত করা হয়নি। ফলে স্বভাবতই মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহের দানা বাঁধছে। তবে কি সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত?


এ ব্যাপারে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনা চরণ জমাতিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়টি এড়িয়ে যান কোনো এক অজ্ঞাত কারণে। তিনি জানান, গাড়ির চালক সত্যবান সিং যে গাড়ির নম্বর পুলিশকে দিয়েছে সেটি ভুল। এখন দেখার বিষয় পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে ওই দূরপাল্লার লরির মালিক এবং লরিটিকে ফলো করে নিয়ে যাওয়া ওই ডিজাইর গাড়ির ভেতরে থাকা গাঁজা পাচারের মূল মাস্টার মাইন্ডের বিরুদ্ধে।নাকি আর পাঁচটা সাধারণ মামলার মতোই থানার ফাইলে বন্দি হয়েই থেকে যায়। নাকি গাঁজা পাচারের মূল রাঘব বোয়ালদের পাকড়াও করার বদলে নিরীহ ট্রাক ড্রাইভারকে সাজা পেতে হয়।পুলিশের এমন ভূমিকা নিয়ে এবার উঠছে নানা প্রশ্ন। তবে কি পুলিশ বাবুরা লোক দেখানো ৩১৭ কেজি গাঁজা পাকড়াও করে হাজার হাজার গাঁজা পাচারের গাঁজা পাচারকারীদের সাহায্য করছে? এমনই প্রশ্ন এখন উঁকিঝুঁকি মারছে জনমনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *