দুর্গাপুর, ১০ মে (হি. স.) : “পুলিশ, পুলিশের কাজ করুক। আমরা, আমাদের কাজ করছি। তারা যদি রাজনীতি করতে আসে, তাহলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। পুলিশ যদি বেশি প্রভু ভক্তি দেখায়, থানা জ্যাম করে গোটা রাত রেখে দেবো।” শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নগর এলাকায় চা-চক্রে যোগ দিয়ে পুলিশকে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ন ভোটের দাবীতে সাতসকালে সমর্থকদের দেওয়া পায়রা ওড়ালেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন যাবৎ বর্ধমানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের সমর্থনে জনসভা, পদযাত্রা, রোড-শো বাতিল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত বুধবার রাতে যা চরমে পৌঁছায়। এদিন বীরহাটায় দিলীপ ঘোষের প্রচারে পুলিশ বাধা দেওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠের অনুমতি দেওয়া নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। তারপর শক্তিগড়, বর্ধমান সহ ৬ টি কর্মসূচী বাতিলের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার চা-চক্রে যোগ দিয়ে পূর্ব বর্ধমান রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তারপর শুক্রবার রোজকার মত বর্ধমানের রায়নগরে প্রাত:ভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি পায়ে হেঁটে জনসংযোগ করার পর চা-চক্রে যোগ দেন। সেখানে এক সমর্থকদের আবদারে পায়রা ওড়ালেন। পায়রা ওড়ানোর পর তিনি বলেন,” রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। তাই শান্তিপূর্ন নির্বাচনের জন্য পায়রা উঠিয়ে দিলাম।” মনোনয়নের দিন হাতে ডমরু, কখনও ত্রিশুল ধরেছিলেন। নির্বাচনের দিন সেরকমই কি কিছু দেখা যাবে? সেপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”সবই প্রস্ততি আছে। আমাদের এই কর্মীরা ভোট করাবে। এখানে অনেক ইঞ্চি, ফুট সাইজের নেতারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলের যারা ভোট করাতো, তাদের বাড়ি ঢুকিয়ে দেব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বড় ঘরে পাঠিয়ে দেব।” এদিন তিনি ফের পুলিশকে হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন,”পুলিশ, পুলিশের কাজ করুক। আমরা, আমাদের কাজ করছি। তারা যদি রাজনীতি করতে আসে, তাহলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। পুলিশ যদি বেশি প্রভু ভক্তি দেখায়, থানা জ্যাম করে গোটা রাত রেখে দেবো।”