গুয়াহাটি, ২৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : চার বছর আগে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক হিসেবে দেশীয়ভাবে নির্মিত ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল। উচ্চ গতিসম্পন্ন রুটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন শহরকে সংযুক্ত করতে এখন পর্যন্ত ভারতীয় রেলওয়ে ১০টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালাচ্ছে। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিউদিল্লি এবং বারাণসীর মধ্যে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল। এই সিরিজের সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা হাওড়া ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে গত বছর (২০২২)-এর ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী সূচনা করেছিলেন।
নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া রুটে চলাচলকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কেহলমাত্র বোলপুর (শান্তিনিকেতন), মালদা টাউন ও বারসোই জংশন স্টেশনে দাঁড়ায়। এই ট্রেন কলকাতা এবং উত্তরপূর্বের প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে ভ্রমণের সময় হ্রাস করেছে। ভালো পৃষ্ঠপোষকতা-সম্পন্ন এই ট্রেন পরিবহণের দ্রুত মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। নিয়মিত চলাচলের তারিখ থেকে ১০০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি চলাচল করছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে গুয়াহাটি থেকে বন্দে ভারত-এর অন্যান্য পরিষেবার জন্যও পরিকল্পনা করেছে যা অদূর ভবিষ্যতে এই জোনে চলাচল করবে।
এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে এই তথ্য দিয়ে আরও জানান, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস একাধিক উন্নতমানের এবং বিমানে যাত্রা করার মতো অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এই ট্রেন স্বদেশীয়ভাবে তৈরিকৃত ট্রেন সংঘর্ষ এড়ানোর ব্যবস্থা-কবচ সহ অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে দাবি অনুযায়ী ওয়াই-ফাই কনটেন্টের ব্যবস্থা। প্রতিটি কামরায় ৩২ ইঞ্চির স্ক্রিন আছে, যা যাত্রীদের সমস্ত তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রদান করবে। রয়েছে সাইড রিক্লিনার সিটের সুবিধা।
এগজিকিউটিভ শ্রেণির কামরায় ১৮০ ডিগ্রি ঘূর্ণায়মান বৈশিষ্ট্যযুক্ত আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেমি-হাই-স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘণ্টা প্রতি সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এবং শতাব্দী ট্রেনের মতো ভ্রমণ শ্রেণি রয়েছে উন্নততর সুবিধা সহ।