ধানবাদ, ১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে একটি বহুতলে আগুন লাগার ঘটনায় মৃত্যু হল তিনটি শিশু-সহ অন্তত ১৪ জনের। এই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন ১২ জন। মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন হলেন মহিলা, তিনটি শিশু ও একজন পুরুষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানবাদের জোড়াফাটক রোডে অবস্থিত একটি বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। যে বহুতলে আগুন লেগেছিল, তার নাম ‘আশীর্বাদ টাওয়ার অ্যাপার্টমেন্ট’। মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মৃতদের পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এবং আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে।
আশীর্বাদ টাওয়ারে বসবাসরত ব্যবসায়ী সুবোধ লালের মেয়ের বিয়ে ছিল মঙ্গলবার। বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সিদ্ধি বিনায়ক হোটেলে। বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে তাঁর আত্মীয়রা এসেছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। পাত্রী নিজেই হোটেলে ছিলেন। বাড়ির মহিলা এবং অতিথিরা প্রস্তুত হতে অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছেছিলেন। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট নাগাদ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীর ঘর চতুর্থ তলায় ছিল। ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তেই সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিয়েতে আসা মহিলারা ভারী শাড়ি ও লেহেঙ্গা পরেছিলেন, তাঁরা আগুনের কবলে পড়ে যান। আগুনে পাত্রীর মা, দাদা ও মাসি-সহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী পঙ্কজ আগরওয়ালের ঘরে আগুন লাগে। এরপর সিলিন্ডার ফেটে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন মহিলা, তিনটি শিশু-সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ১৮ জন আহত হয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সেল বোকারোর কর্মী পিন্টু শ্রীবাস্তবের স্ত্রী সবিতা শ্রীবাস্তব ও ছেলে অমন, সুবোধ শ্রীবাস্তবের স্ত্রী মালা দেবী, বাবা বিজয় লাল শ্রীবাস্তব, হাজারিবাগের বাসিন্দা সুশীলা দেবী এবং চার বছর বয়সী তনু কুমার। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহত ১৮ জন পাটলিপুত্র নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।