জে সি সি:-২৩৫/৮
স্ফুলিঙ্গ:- ২৩৭/৩
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি।। প্রথম দুই ম্যাচে ফর্মে না থাকায় সমালোচকরা বলতে শুরু করেছিলেন মণিশঙ্গরের ক্রিকেট জীবন শেষের দিকে। মুখে নয়, কাজে বিশ্বাসী ত্রিপুরার ওই অলরাউন্ডারটি রবিবার সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন। জীবনের সেরা ইনিংস খেলার পাশাপাশি রাজ্যের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে দ্রুত দেড়শতরান করলেন। বিপক্ষের গড়া ২৩৫ রানের জবাবে মণিশঙ্কর একাই করলেন ১৮৫ রান। মূলত: মণিশঙ্করের ব্যাটিং তান্ডবের কাছেই হার মানতে হলো জে সি সি কে। টানা ৩ ম্যাচে জয় পেয়ে গ্রুপের শীর্ষে স্ফুলিঙ্গ ক্লাব। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত বিপুল মজুমদার স্মৃতি সুপার ডিভিশন লিগ ক্রিকেটে। নরসিংগড় পুলিস ট্রণিং আকাদেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রবিবার সকালে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে জে সি সি নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করে।দলের পক্ষে অনিরুদ্ধ সাহা শতরান করেন। জে সি সি-র ওই ওপেনারটি ১৪৯ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারি ও ৫ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৬ রান করেন। এছাড়া দলের পক্ষে রিমন সাহা ৩৩ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩, জয় কি,আন সাহা ৩০ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬ (অপ:) এবম রোহিত ঘোষ ২৮ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ রান করেন। দল অতিরিক্ত খাতে পায় ২৫ রান। স্ফুলিঙ্গ-র পক্ষে জয়দীপ ভট্টাচার্য (৩/২৮) এবং বিক্রম দেবনাথ (২/২২) সফল বোলার। জবাবে খেলতে নেমে ২২.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় স্ফুলিঙ্গ। ২৪ রানে ২ এবং ৭১ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আনন্দ ভৌমিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন মণিশঙ্কর। আনন্দকে ক্রিজের একপাশে দাড় করিয়ে দ্রুত বল মাঠের বাইরে পাঠাতে থাকেন মণিশঙ্কর। ত্রিপুরা রণজি দলের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার মণিশঙ্করের ব্যাটিং তান্ডবে নাজেহাল হয়ে পড়েন জে সি সি-র বোলাররা। মাত্র ৬৯ বল খেলে ১২ টি বাউন্ডারি ও ১৮ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮১ রানে অপরাজিত থেকে যান ম্যাচের নায়ক মণিশঙ্কর। যা রাজ্যের ক্রিকেটারদের মধ্যে আসরে সর্বোচ্চ রান। পাশাপাশি রাজ্যের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বকালের সবথেকে দ্রুত দেড়শত রান। আনন্দ ২৩ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে যান।