নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ অক্টোবর৷৷ আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ’ত্রিপুরা ডাটা সেন্টার পলিসি-২০২১’ অনুমোদন করা হয়েছে৷ এছাড়াও আজকের বৈঠকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ সন্ধ্যায় মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্ক’তি মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ ব্যাখ্যা করেন৷ তিনি বলেন, রাজ্যের বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই নীতি অনুমোদন করেছে রাজ্য সরকার৷ এর ফলে বহিরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলি রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আক’ষ্ট হবে৷ সংস্থাগুলি যদি রাজ্য ডাটা সেন্টার তৈরী করতে চায় রাজ্য সরকার যে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলে মন্ত্রী জানান৷
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তক্রমে আজ রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের অধীন এসসিইআরটি-র নিয়োগ নীতি পরিবর্ধনকরে এসসিইআরটিতে পূর্ণ সময়ের জন্য ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ তাছাড়া এদিনের মন্ত্রিসভায় সমবায় দপ্তরের অধীনে ১টি জয়েন্ট রেজিস্ট্রার অব কো-অপারেটিভ সোসাইটিস পদ স’ষ্টি করা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ পাশাপাশি ডা. রামেশ্বর দাস যিনি বর্তমানে ত্রিপুরা ফরেষ্ট ডেভেলপমেন্ট এণ্ড প্ল্যান্টেশন কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তাঁর চাকুরীর মেয়াদ ১ বছর ব’দ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়াও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীন বিনয় পাণ্ডে সাবজেলার তাঁর চাকুরীর মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে৷ তিনি আরও জানান স্বরাস্ট্র দপ্তরের অধীন স্টেট ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার এবং লাই ডিটেকশন ডিভিশন গ্রপ-এ গেজেটেড দুটি পদ যেগুলি অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পদ দুটি পুনরায় স’ষ্টি করা হয়েছে৷
রাজ্য মন্ত্রিসভায় গৃহীত অন্যতম সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে জনশক্তি ও কর্মবিনিয়োগ দপ্তরের অধীন জয়েন্ট রিক্রটমেন্ট বোর্ড অব ত্রিপুরার কার্যকালের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ তথ্যমন্ত্রী শ্রী চৌধুরী জানান, আগামী নভেম্বর মাসে জে আর বি টি’র কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ যেহেতু জে আর বি টি গ্রপ সি এবং গ্রপ ডি স্তরে নিয়োগের জন্য পরীক্ষাপর্ব সম্পন্ন করেছে এবং অন্যদিকে পুর নির্বাচনের কারণে এই পরীক্ষায় বাছাই প্রক্রিয়া বিঘিত হতে পারে তার জন্য আগামী এক বছর পর্যন্ত জে আর বি টি’র কার্যকাল বাড়ানো হয়েছে৷
আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও পর্যালোচনা করা হয় এবং বর্তমান অবস্থার নিরিখে সন্তোষ ব্যক্ত করা হয়৷ তথ্যমন্ত্রী শ্রী চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কোভিড রোগীর সংখ্যা ১১০৷ এর মধ্যে আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ৪ জন এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছে ১০৬ জন৷ রাজ্যে মোট কোভিড টিকাকরণ এখন পর্যন্ত হয়েছে ৪০ লক্ষ ৫১ হাজার ৩০ জনের৷ এর মধ্যে প্রথম ডোজ ২৫ লক্ষ ৪ হাজার ৩২৭ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭০৩ জনকে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর দুরদর্শিতা এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং টিকাকরণ পর্ব সম্পন্ন হচ্ছে বলে তথ্য ও সংস্ক’তি মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী অভিমত ব্যক্ত করেন৷