আগরতলা, ৮ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : রাজনৈতিক সন্ত্রাস ত্রিপুরায় ক্রমশ পরিস্থিতিকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনার পারদ প্রতিনিয়ত চড়ছে। আজ উদয়পুরে বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের সাথে বিজেপি যুব মোর্চার সংঘর্ষে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একজন যুব মোর্চার কর্মী সিপিএমের মারে গুরুতর আহত হয়েছেন। এরই পাল্টা বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা বিধায়ক রতন ভৌমিকের গাড়ি ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, উদয়পুর জামতলা স্থিত সিপিএম পার্টি অফিসে হামলা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং স্ট্যান্ড গ্রেনেড ছুড়েছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে হলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ ডিওয়াইএফআই, টিওয়াইএফ এবং এসএফআই উদয়পুর শহরে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিল। ওই খবর পেয়ে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা জামতলা এলাকা তিন দিক থেকে ব্যারিকেড দিয়ে ফেলে। শহরে বামপন্থী ছাত্র যুবদের মিছিলকে ঘিরে আগে থেকেই উদয়পুর শহরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ। তা সত্ত্বেও দুই গোষ্ঠির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী আমতলীর বাসিন্দা মাফিজ মিয়া সিপিএম পার্টি অফিসে ঢিল ছুড়েন। তাতে, বামপন্থী যুবরা দৌড়ে গিয়ে পাকড়াও করেন এবং বেধরক মারধরে রক্তাক্ত করেছেন। দমকলের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে তেপানিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথা ফেটে গিয়েছে। চিকিত্সকরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়েছেন।
দলীয় কর্মীর আক্রান্তের উত্তেজিত হয়ে উঠেন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা। তাঁরা জামতলা সিপিএম পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়ানো বিধায়ক রতন ভৌমিকের গাড়ি ভাংচুর করেছেন। সাথে তারা সিপিএম পার্টি অফিসেও ইট পাটকেল ছুড়েছেন। ওই ঘটনায় পরিস্থিতি বিষন উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ফলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাঁদানে গ্যাস এবং স্ট্যান্ড গ্রেনেড ছুড়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুণরায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে আশঙ্কায় এলাকায় বিশাল ও টিএসআর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।