BRAKING NEWS

সুপ্রিম রোষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কার্নান, ১৩ ফেব্রুয়ারি হাজিরার নির্দেশ

aaaa1111SupremeCourtIndiaনয়াদিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): সুপ্রিম রোষে পড়লেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কার্নান| আদালত অবমাননার অভিযোগে বিচারপতি সি এস কার্নানকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত| আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দিতে হবে তাঁকে| এখানেই শেষ নয়, সর্বোচ্চ আদালতের আরও নির্দেশ, কার্নানকে কোনও বিচারবিভাগীয় বা প্রশাসনিক কাজ দেওয়া চলবে না| উল্লেখ্য, এই প্রথম দায়িত্বে রয়েছেন এমন কোনও বিচারপতিকে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট|
বিচারবিভাগের দিকে আঙুল তোলার জন্য কার্নানের বিরুদ্ধে স্বতোপ্রবৃত্ত মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে| ৱুধবার প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির বেঞ্চ মামলাটি শোনে| শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি জানান, কার্নানের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত| মাদ্রাজ হাইকোর্টও কার্নানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে| জানিয়েছে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের ১২টি ফাইল নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন কার্নান| সেগুলি ফেরত হওয়া দরকার| তাছাড়া মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন চেন্নাইতে যে বাংলো পেয়েছিলেন তিনি, সেটিও খালি করেননি কার্নান| অথচ মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে বদলির এক মাসের মধ্যে সেই বাংলো ছেড়ে দেওয়ার কথা কার্নানের|
এখন প্রশ্ন হল বিচারপতি কার্নানের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে? ঘটনার সূত্রপাত সি এস কার্নান মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি থাকার সময়| মাদ্রাজ হাইকোর্টের তত্কালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কে কউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু করার হুমকি দিয়েছিলেন কার্নান| কিন্তু, যার বিরুদ্ধে কার্নান অভিযোগ আনেন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের সেই প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কে কউলের নামই এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে| কার্নানের অভিযোগ ছিল, মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁর কাজে অযথা হস্তক্ষেপ করতেন| এছাড়া মাদ্রাজ হাইকোর্টের আরও এক বিচারপতির শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি জাল বলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন কার্নান| এখানেই শেষ নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশ প্রথমে মানতে চাননি কার্নান| উল্টে সুপ্রিম কোর্টের বদলির নির্দেশের উপর নিজেই স্থগিতাদেশ জারি করেন| পরে অবশ্য তিনি কলকাতা হাইকোর্টে যোগ দেন|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *