নয়াদিল্লি, ২৩ নভেম্বর (হি. স.) : শ্রদ্ধা ওয়ালকারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২০ সালে শ্রদ্ধাকে আফতাব কুচি কুচি করে কেটে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। আর আফতাবের এই আচরণের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকার। সেরকমই একটি চিঠি এবার প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, তখন শ্রদ্ধা ওয়ালকার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ভাসাই শহরে যখন শ্রদ্ধা লিভ ইন পার্টনার আফতাবের সঙ্গে থাকতেন, সে সময় আফতাব তাঁকে মারধর করা শুরু করে। এবং তারপর তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শ্রদ্ধা এবং আফতাবের মধ্যে এই ঘটনা জানতো আফতাবের পরিবার বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে শ্রদ্ধা ওয়ালকার মুম্বাইয়ের ভাসাই এলাকায় পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন আফতাবের নামে। এই সূত্রে মুম্বাইয়ের ভাসাই পুলিশ স্টেশনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দিল্লির তদন্তকারী অফিসাররা যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। একইসাথে দিল্লির তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করণ নামে এক বন্ধুকে শ্রদ্ধা আফতাবের সম্পর্কে সমস্ত কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে করণকে নিজের আহত মুখের একটি ছবিও পাঠিয়েছিলেন শ্রদ্ধা বলে জানা গিয়েছে।
২০২০ সালের ২৩ শে নভেম্বর ভাসাই পুলিশ স্টেশনের শ্রদ্ধা যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, “আজ আমায় আফতাব শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেছে। আমার ভয় লাগছে। আমাকে ও ব্ল্যাকমেল করছে। খুন করে কুচি কুচি করে কেটে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। গত ছয় মাস ধরে আমায় ও মারধর করে। কখনও সাহস করে এসে বলতে পারিনি। পুলিশি যাওয়ার কথা মাথায় আনলেও আমার ভয় লাগত।” এখন প্রশ্ন উঠছে, ভাসাই পুলিশ সবকিছু জানার পরেও কেন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি? তবে এই তথ্য বা শ্রদ্ধার এই চিঠি হত্যা তদন্তে বড় সূত্র বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।