বাজারে মিলছে না আশানুরূপ মূল্য, সবজি চাষীদের মাথায় হাত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ ফেব্রুয়ারী৷৷ শীতকালীন সবজি চাষ করে বহু কৃষক পরিবার প্রতিপালন করে অতিরিক্ত আয়ের পথ খুঁজে পান৷ বিশেষ করে ফুলকপি বাঁধাকপি রাজ্যের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য বছর বহির রাজ্যে পাঠানো হতো৷ কিন্তু এবছর তুলনামূলকভাবে ফলন ভালো না হওয়ায় রাজ্যের চাহিদা পূরণ করে বহির রাজ্যে আশানুরূপভাবে পাঠানো সম্ভব হয়নি৷ তাতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সবজি চাষীরা৷  রাজ্যের বাজারে কফির  ব্যাপক চাহিদা রয়েছে৷  চাষিরাও চাহিদা পূরণ করার জন্য ব্যাপক হারে কফি চাষ করেন৷  বিরাট অংশের কৃষকেরা এই কফি চাষের উপর নির্ভর করে সংসার প্রতিপালন করে থাকেন৷ এবছরও বেশ আশা নিয়ে কপি চাষ করতে শুরু করেছিলেন রাজ্যের অগণিত কৃষক কূল৷ কিন্তু এবছর ক্ষতির সম্মুখীন কফি চাষীরা৷ বিশেষ করে শীতকালে সর্বদাই ফুলকপি ও বাঁধাকপির ব্যাপক চাহিদা থাকে বাজারে৷ কিন্তু এবছর  শুখা মরশুম হওয়াতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ফুল কফি ও বাঁধা কফি চাষীদের৷ এমনই এক ক্ষতির কথা আক্ষেপের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের নিকট  তুলে ধরলেন তেলিয়ামুড়া মহাকুমার বাইশ ঘড়িয়া এলাকার  কৃষক প্রদীপ ঘোষ৷ এই এলাকাতে অধিকাংশ কৃষিজীবী মানুষজনের বসবাস৷  তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল বিভিন্ন রকমারি ফসল চাষ করা৷ সময় অনুযায়ী তাঁরা নানা ধরণের ফসল চাষ করে থাকে৷ কিন্তু এবছর শীতকালীন ফুল কফি ও বাঁধা কফি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান অধিকাংশ কৃষক৷  এমনিতেই বাইশ ঘড়িয়া এলাকা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধা কফি  ও ফুল কফি রপ্তানি করা হয়৷ কিন্ত এবার তেমন ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধা কফি ও ফুল কফি পাঠানো যায় নি বলে কৃষকদের অভিমত৷ আর যেটুকুই বেঁচেছে সেটা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়েছে৷  এতে ক্রেতা বিক্রেতা সকলেরই এক প্রকার মাথায় হাত৷ এখন রাজ্যের অন্যান্য অংশের কৃষকদের মতো তেলিয়ামুড়া মহকুমার বাইশ ঘড়িয়া এলাকার কৃষকদের দাবি কৃষি দপ্তর যেন তাদের প্রতি একটু কৃপা দৃষ্টি  করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *