ভারতবর্ষে জাতীয় দলগুলির দিন শেষ, মেঘালয়ে বলেছেন টিএমসি নেত্রী মহুয়া মৈত্র

কনরাড অমিত শাহদের পশ্চিমবঙ্গে মমতা সরকারের দুরন্ত উন্নয়নের ছবি দেখে আসার আমন্ত্রণ মহুয়ার

শিলং, ২৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : ভারতবর্ষে জাতীয় দলগুলির দিন শেষ, মেঘালয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসে বলেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)-নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির নেতা রাহুল গান্ধীর ওপর হামলা করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন মহুয়া। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছেন। মহুয়া বলেন, মেঘালয়ে টিএমসি একটি বিকল্প রাজনৈতিক দল হয়ে দাঁড়াতে ইতিমধ্যে সক্ষম হয়েছে, তার প্রমাণপত্র দর্শানোর প্রয়োজন নেই।

আজ এখানে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী মৈত্র বলেন, ভারতে জাতীয় দলগুলির দাদাগিরি আর চলবে না, তাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। তাঁর দাবি, যদি টিএমসিকে একটি বাই-পার্টি ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হয় তা-হলে ভারতে গণতন্ত্র বলে অবশিষ্ট থাকবে না। টিএমসি-ই একমাত্র দল, যে দল টানা ৩৪ বছরের ক্ষমতাসীন বামদের বিরুদ্ধে লড়াই করে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন এনেছে। এই টিএমসি টানা তৃতীয় মেয়াদে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে, বলেন মহুয়া মৈত্র।

মেঘালয়ের ক্ষমতাসীন এনপিপি এবং বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে সাংসদ মৈত্র বলেন, ‘তারা সবাই এক সূত্রে বাঁধা। আজ কনরাড (মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি-প্রধান) বলতে পারেন, অমিত শাহ খুব খারাপ। আবার অমিত শাহও বলতে পারেন, কনরাড সাংমা খুব খারাপ। তবে নির্বাচন শেষ হলেই তাঁরা আবার ভাই ভাই হয়ে যাবে। তাই আমি মেঘালয়ের জনগণকে তাঁদের ফাঁদে না পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ বক্তব্যের টানে মহুয়া মেঘালয়ে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ব্যর্থতার কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

এনপিপি-নেতৃত্বাধীন এমডিএ শাসনামলে পরিকাঠামোর অভাব সম্পর্কে সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, মেঘালয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকারকে অবশ্যই পাঠ শেখানো উচিত। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি আমাকে বলে যে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি তুরায়, তা-হলে আমার পক্ষে তা মানা সম্ভব নয়। কারণ শিলং বা অন্য জায়গা থেকে তুরা যাওয়ার বেহাল রাস্তাই প্রমাণ, কনরাড সাংমার সরকার রাজ্যের উন্নয়নে কতটা কাজ করছে।’ কনরাড সাংমা, অমিত শাহদের পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুরন্ত উন্নয়নের ছবি দেখে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *