নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ফব্রুয়ারী৷৷ ভোট শেষ হতে না হতেই সন্ত্রাসের বলি এক সিপিআইএম সমর্থক৷ ঘটনা জেলার রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা এলাকার ৪৩ নং বুথ দ্বারিকাপুরে৷
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার গ্রাম প্রধান৷ পাঁচ বছরে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই দিলীপ শুক্ল দাস নামে এক ব্যক্তি জবাব চাইতে যায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ কমল দাসের কাছে৷ শনিবার গভীর রাতে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় রামচন্দ্রঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের ৪৩ নং বুথ দ্বারিকাপুর এলাকায়৷ অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ শুক্লদাসের নেতৃত্বে ৮-১০ জন প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায়৷ তাতে নাকি প্রধানের পুত্র অমিত শুক্ল দাস আহত হয়৷ পরে প্রধানের পাল্টা আক্রমনে গুরুতরভাবে আহত হয় দিলীপ শুক্লদাস৷ তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে৷ কল্যানপুর দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিকে কল্যানপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাথে সাথেই আগরতলা জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করেন৷ কিন্তু রাতেই দিলীপ শুক্ল দাসের মৃত্যু হয়৷ পুলিশ জানায় ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ নিহতের পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে৷ নিহত ব্যক্তি নাকি বহুদিন ধরেই তাকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটি ঘর বরাদ্দ করার জন্য দাবী জানিয়ে আসছিল৷৷ কিন্তু তাকে বছরের পর বছর বঞ্চিত করা হয়৷৷ এ নিয়ে গ্রাম প্রধানের সঙ্গে ওই ব্যক্তির বাক বিতন্ডা হয়৷ শেষ পর্যন্ত বিষয়টি রাজনৈতিক হিংসাত্মক কার্যকলাপে পরিণত হয়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বারিকাপুর সহ পার্শবর্তী এলাকাগুলিতে তীব্র উত্তেজনা কর পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ জিবি হাসপাতালে ছুটে যান৷ রবিবার ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ নিয়ে যেতে আসেন পরিবারের সদস্য সহ সিপিএম নেতৃত্ব৷ সিপিএম নেতৃত্বদের অভিযোগ এই ক্ষেত্রে পুলিশ বাধা দেয়৷ কিন্তু মৃতদেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান সিপিএম নেতৃত্ব৷ রাজ্য কার্যালয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানায় সিপিএম নেতা রতন দাস৷ সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কর্মসূচী রয়েছে বলে জানান তিনি৷ পুলিশে মৃতদেহ সিপিআইএম নেতৃত্বের হাতে তুলে না দিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে৷ এমনকি সিপিএমের পক্ষ থেকে হেরিটেজ পার্ক এর কাছে পথ অবরোধ করা হয়৷ শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি ব্যাগতিক দেখে পুলিশ মৃতদেহ সিপিএমের নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দেয়৷ তারপরে পথ অবরোধ প্রত্যাহার করা হয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়৷
2023-02-19

