BRAKING NEWS

আগরতলা আসনে ছয়বারের বিধায়ক কংগ্রেসের সুদীপকে হারাতে পারবেন বিজেপির পাপিয়া দত্ত ? আশাবাদী দুজনেই

আগরতলা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : মৰ্যাদাসম্পন্ন ৬ নম্বর আগরতলা আসনে ভোটযুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বিজেপি বনাম কংগ্ৰেসের। প্রশ্ন উঠছে, ছয়বারের বিধায়ক কংগ্রেসের সুদীপ রায়বৰ্মণকে বিজেপির নয়া মুখ পাপিয়া দত্ত কি পারবেন পরাজিত করতে? তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দুজনেই।

মূলত কংগ্রেসি সুদীপ রয়বর্মণ আগরতলা থেকে ছয় বার বিধায়ক নিৰ্বাচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালে কংগ্ৰেস ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। কিন্তু তৃণমূলেও টেঁকননি বেশিদিন। ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্ৰেস ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। বিপ্লবকুমার দেব নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের হয়েছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রীও। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিয়েও তিনি তাঁর দলবিরোধী কার্যকলাপ ছাড়েন নি। খুইয়েছিনলেন মন্ত্রিত্ব। এর পর গত বছর কংগ্রেসে প্রত্যাগমন করেন। এবার সেই কংগ্রেসের টিকিটে আগরতলা আসনে লড়ছেন। তাঁর দাবি, এবারও তিনি অনায়াসে বিজয়ী হবেন। বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে ভোট দিচ্ছেন।

এদিকে প্রভাবশালী কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থিত্ব দিয়েছে নতুন মুখ পাপিয়া দত্তকে। বিজেপি প্রার্থী পাপিয়া দত্ত বলেন, টিকিট পাওয়ার প্রথম দিন থেকেই ভোটারদের মধ্যে দেখেছেন, তাঁরা বাম আমলের কালো দিনে আর ফিরে যেতে চান না। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, এবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী হওয়ার বিষয়ে তিনি ১০০ শতাংশেরও বেশি আত্মবিশ্বাসী।

আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্র সুদীপ রায়বর্মণের শক্ত ঘাঁটি, এ সম্পৰ্কে এক জিজ্ঞাসার জবাবে বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘নাস মোটেও চ্যালেঞ্জ নেই। একজন প্রার্থী যদি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে বার বার তাঁর দল পরিবর্তন করতে থাকেন, তবে মানুষ কীভাবে সেই বদলুকে ভোট দিয়ে আবার বিশ্বাস করবেন ?’

বিজেপি প্ৰাৰ্থীর আরও দাবি, ‘ত্রিপুরার জনতা এই সত্যটি হজম করবে না যে কংগ্রেস-সিপিআইএম-এর অপবিত্র জোট রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের জন্য পরিচিত ছিল। সিপিআইএম-এর শাসনে ত্রিপুরায় এক হাজারের বেশি মানুষ খুন হয়েছিলেন। এবার আগরতলার জনতা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। তাঁদের ভোট পদ্মফুলেই পড়েছে।’
প্রসঙ্গক্রমে তিনি ২০১৯ সালে আমেথি নির্বাচনী ফলাফলের কথা স্মরণ করানোর চেষ্টা করেন। বলেন, আমেথিতে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধীকে হারিয়েছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *