প্রেম দিবসে আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি ফুল ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ ফেব্রুয়ারী৷৷ নির্বাচনী  ঢ়ামাঢ়োলে এবছর ভ্যালেন্টাইন ডে বা প্রেম দিবসের আনন্দ উল্লাস অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে৷ তদুপরি, কতোপ কতোপীদের ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের রীতি পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়নি৷ বিভিন্ন পার্ক এবং রেস্টুরেন্ট গুলিতে জোড়ায় জোড়ায় খোপায় গোলাপ জড়িয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে প্রেমিক-প্রেমিকাদের৷ এই উল্লাস  যেন অতীতের সব দিধাদ্বন্দ্ব মোহ কালিমা ঘুচিয়ে এক নিরন্তন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের রঙ্গিন স্বপ্ণকে আলোকিত করেছে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন ফুল বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে এবছর ভ্যালেন্টাইন ডে তে ফুলের চাহিদা অনেকটাই কম বলে জানালেন ফুল বিক্রয়কারীরা৷ সকালের দিকে সংসান ছিল ফুলের দোকানগুলি৷ তবে বিকেলের দিক থেকে কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে ফুলের বাজার৷ ব্যবসায়ীদের অভিমত রাজনৈতিক মিটিং মিছিলের কবলে পড়ে এবছর নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে অনেকেই ভ্যালেন্টাইন ডে তে ঘর থেকে বের হননি৷ ফলে ফুল ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি৷
ভালোবাসা শব্দটি চার অক্ষরের হলেও এর অর্থ বেশ আবেগঘন৷ স্নেহ থেকে শ্রদ্ধা সবকিছুই থাকে এই ভালসাবার মধ্যে৷ এই প্রেমের সাগরে ডুব দিতে সকলেই অপেক্ষায় থাকে এক বিশেষ দিনের৷ বছর ঘুরে আবারো সেই দিন আসলো বলে, ১৪ ফেব্রুয়ারি৷ সকলেই প্রস্তুত দিনটিকে সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য৷ কারো বিচারে জগতে প্রেমই শ্রেষ্ঠ৷ আবার কারো কাছে প্রেমই জগৎ৷ আসলে মানুষ ভালোবাসার মাধ্যমেই জীবনের মানে খুঁজে পায় এ কথা সত্য৷ তুমি কি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে সবকিছু ভেঙেচুরে ভালোবাসতে পারছো ? প্রাণ খুলে বলতে পারছো কি মনের কথা ? উজাড় করা ভালোবাসার জন্য মন খোলার পাশাপাশি খুলতে হয় মুখও৷ মুখে না বললেও সেই কথাগুলি লিখে জানাতে ভুল করো না৷ তোমার ভালোবাসার ফুল ও ফুলের মত সুন্দর দুটো কথার জন্য তোমার প্রিয়জন অপেক্ষা করে থাকে৷ যা ভালোবাসায় গভীর ভাবে নাড়িয়ে দেবে তোমার ভ্যালেনটাইনকে৷
হাতে গোলাপ, মনে বসন্তের ছোঁয়া, এই নিয়েই শুরু হয়ে গেছে এবছরের প্রেম পার্বণ৷
 প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ভ্যালেন্টাইনস ডে৷ এই দিনটিতে প্রত্যেকেই তাঁদের প্রিয়জনের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেন৷ অনেকেই মনে করেন যে, এই দিনটি কেবল মাত্র প্রেমিক-প্রেমিকা ও দম্পতিদের  জন্য বিষয়টি একদমই সঠিক নয়৷ যে কেউ এই দিনে তাঁদের প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন৷ সে যে কেউ হতে পারেন, যেমন- পরিবারের সদস্য, বন্ধু, ভাই-বোন এবং অন্যান্য ব্যক্তি, যাঁরা জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন৷
ফেব্রুয়ারি মাস মানেই যেন প্রেমের মাস৷ হাতে গোলাপ, মনে বসন্তের ছোঁয়া, এই নিয়েই শুরু হয়ে গেছে এবছরের প্রেম পার্বণ৷ রোজ ডে দিয়ে শুরু, প্রোপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিজ ডে, হাগ ডে, কিস ডে এবং সর্বশেষ হল বহু প্রতীক্ষিত ভ্যালেন্টাইনস ডে৷ টানা এক সপ্তাহের প্রেম পর্ব৷
প্রতিবছরই এই মাসে এক সপ্তাহ জুড়ে প্রেমের বসন্তে মেতে ওঠেন সকলে৷ কিন্তু, কেউ কি জানেন কেন পালন করা হয় এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে? পালনের পেছনে কি এর ইতিহাস? আপনি যদি এ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে জেনে নিন৷ দিনটির নামকরণ করা হয়েছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে৷ পঞ্চম শতাব্দীর শেষের দিকে পোপ গেলাসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন৷আমরা যদি ইতিহাসের পাতাগুলি উল্টে দেখি তবে দেখতে পাব যে, তৃতীয় শতাব্দীর সময় রোমের বাসিন্দা, পুরোহিত ও চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের স্মরণে উদযাপিত হয়েছিল এই দিনটি৷ যিনি ছিলেন একজন ধর্ম প্রচারকও৷ যিনি প্রেমের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, সেই সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্বীকার করে সেখানকার মানুষেরা তাঁকে একটা দিন উৎসর্গ করার কথা ভাবেন৷
আত্মকেন্দ্রিক ও অবক্ষয়ের সমাজ ব্যবস্থাতেও আজকের দিনে ভালোবাসার বিকল্প নেই৷ ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিবসটি যুগ যুগ আরো আলোকিত হোক, সেটাই প্রত্যাশাই রইল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *