আরসিসি- ২৮৩/৯ (ডি:)
অনুরাগী- ৫৮, ০/০
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারি।। প্রথম দিনে ১৯ উইকেটের পতন। ক্রিকেট অনুরাগীকে ফলোঅনে খেলতে বাধ্য করার পাশাপাশি সরাসরি জয়ের লক্ষ্যে এগুচ্ছে এনএসআরসিসি। দুই দিনের ম্যাচ। প্রথম দিনে ক্রিকেট অনুরাগী বনাম এনএসআরসিসি’র ম্যাচ একতরফা ঠেকছে এবং একদিকেই হেলে রয়েছে। আগামীকাল ম্যাচের অন্তিম দিনে ক্রিকেট অনুরাগীর ব্যাটার্সরা অসাধারণ কিছু করতে না পারলে, তাদের শূন্য হাতেই ঘরে ফিরতে হবে। প্রথম ইনিংসে নিম্নমানের ব্যাটিং অনুরাগীকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। পাল্লা ভারী এনএসআরসিসি’র। কেননা, অনুরাগী এই মুহূর্তে ২২৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে ঠিকই, তবে হাতে রয়েছে পুরো ১০টি উইকেট। উদ্দেশ্য একটাই, সারাদিন টিকে থাকতে হবে। টিসিএ আয়োজিত সদর অনূর্ধ্ব ১৫ ক্রিকেটের সুপার ফোর ক্রিকেটে অনুরাগী ও এনএসআরসিসি’র ম্যাচ চলছে নরসিংগড়ে পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি গ্রাউন্ডে। সকাল ন’টায় ম্যাচ শুরুতে টস জিতে ক্রিকেট অনুরাগী প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এনএসআরসিসি’র মীমন, অংকুরের ডেটিংয়ে দলের স্কোর অনেকটা ভদ্রস্থ হয়েছে। ৫৭ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ২৮৩ রান সংগ্রহ করে এনএসআরসিসি ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। মীমন দাস ৫৯ বল খেলে ১৫টি বাউন্ডারি মেরে ৭৭ রান এবং অঙ্কুর রায় ভৌমিক ৬৩ টি বল খেলে ১৩ টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬৪ রান উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, মাহিন চৌধুরী, ঈশান্ত কুমার রাওয়াত ও অধিনায়ক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস প্রত্যেকে ২৫ করে রান করেছে। ক্রিকেট অনুরাগীর ফারুক ইসলাম একাই ৪টি উইকেট তুলে নেয় ৭৯ রানের বিনিময়ে। এছাড়া, অধিনায়ক অয়ন রায় ৬৮ রানে তিনটি এবং শাহীন জামান চৌধুরী ৬২ রানে দুটি উইকেট পেয়েছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্রিকেট অনুরাগী ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এনএসআরসিসি’র অংস্ ভাটনগর ও মাহিন চৌধুরীর বোলিং দাপটে অনুরাগী প্রথম ইনিংস ৫৮ রানে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। দলের পক্ষে অয়ন রায় সর্বাধিক ২৩ রান পায়। অংস্ একাই ৬ রানে পাঁচটি উইকেট তুলে নেয়। মাহিন চৌধুরী পেয়েছে দুই রানে দুইটি উইকেট। এছাড়া, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও শঙ্খনীল সেনগুপ্ত একটি করে উইকেট পেয়েছে। ফলোঅনে খেলতে নেমে ক্রিকেট অনুরাগী দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে মাত্র ১ ওভার খেলার সুযোগ পায়। তবে কোনও উইকেট যেমন হারায়নি, তেমনি দলের খাতায় কোন রানও যোগ হয়নি। সপ্তদ্বীপ ঘোষ ও ফারুক ইসলাম রয়েছে নাইট ওয়াচম্যানের ভূমিকায়।

