BRAKING NEWS

Tripura rejected : ত্রিপুরায় সারা ভারত বনধ প্রত্যাখ্যাত

আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : কৃষি বিলের বিরোধিতায় সংযুক্ত কিষান মোর্চার বনধ ত্রিপুরায় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷ আজ ত্রিপুরায় সর্বত্রই স্বাভাবিক ছিল জীবনযাপন৷ প্রতিদিনের মতোই সকাল থেকে যানবাহন চলেছে৷ রেল পরিষেবাও স্বাভাবিক ছিল৷ এমনকি দোকানপাট, বাজার খোলা ছিল এবং অফিস-আদালতে কর্মচারীদের উপস্থিতিও স্বাভাবিক ছিল৷ ফলে, বামেদের সমর্থনে সংযুক্ত কিষান মোর্চার বনধ ত্রিপুরায় কোন প্রভাব ফেলেনি, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই৷


প্রসঙ্গত, কৃষি বিলের বিরোধিতায় ৫টি বামপন্থী দলের সমর্থনে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল৷ ত্রিপুরায় সিপিএম নেতা, বিধায়ক এমনকি বিরোধী দলনেতা বনধের সমর্থনে টানা প্রচার করেছেন৷ আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই বনধের সমর্থনে আজ বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধী দল সিপিএমের বিধায়করা কেউই যাননি৷ বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার গত শুক্রবার জানিয়েছিলেন, আমরা বনধের আহবায়ক, ফলে আমাদের পক্ষে ২৭ সেপ্টেম্বর বনধ কর্মসূচি বাদ দিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়৷ কিন্ত, ওই কর্মনাশাকে বনধকে জনগণের প্রত্যাখ্যান ত্রিপুরায় সিপিএমকে অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷


অবশ্য বনধকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ অতিরিক্ত পুলিশ, টিএসআর এবং সিআরপিএফ সারা রাজ্যেই মোতায়েন করা হয়েছিল৷ মূলত, সমস্ত রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই পুলিশের ওই বিশাল আয়োজন বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা পুলিশের জনৈক আধিকারিক৷ আগরতলা সহ বিভিন্ন শহরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের টহল দিতে দেখা গেছে৷ শাসক দল বিজেপি ওই বনধের তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং মানুষ বনধ প্রত্যাখ্যান করবেন তা আগাম দাবি করেছিল৷


ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ওই বনধের ঘোর বিরোধী ছিলেন৷ তাঁদের বক্তব্য, করোনার প্রকোপে এমনিতেই ব্যবসা প্রায় লাটে উঠেছে৷ এরই মধ্যে দুর্গোত্সব কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে৷ কিন্ত, বনধে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে গেলে বিকিকিনি পুরোদমে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল৷ কিন্ত, আজ মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে বনধকে প্রত্যাখ্যান করে সকল অংশের মানুষের উপকার করেছেন৷
আগরতলায় সমস্ত মোটর স্ট্যান্ড থেকে আজ যথারীতি যানবাহন চলাচল করেছে৷ অটো, টমটমকে রাস্তায় দেখা গেছে৷ অফিস, আদালতেও আজ অন্যান্য দিনের মতোই উপস্থিতি ছিল৷ আদালতে আজ যথারীতি শুনানি হয়েছে৷ এদিকে, আজ দুরপাল্লার ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে আগরতলা স্টেশন থেকে রওয়ানা দিয়েছে৷ প্যাসেঞ্জার ট্রেনও যথারীতি যাতায়াত করেছে৷ ফলে, মানুষের গন্তব্যে পৌছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি৷ কারণ, রেল স্টেশনে অন্যান্য দিনের মতোই ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে৷

আজ আগরতলায় সিপিএম এবং কৃষক সভা বনধের সমর্থনে পিকেটিং করতে পারেনি৷ কারণ, আগরতলা শহরে দুইটি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে৷ তবে, গতকাল পর্যন্ত সিপিএমের নেতারা বনধের সমর্থনে লিফলেট বিলি করেছে৷ তা সত্ত্বেও আজ মানুষ সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকে সাড়া দেননি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *