Barnali Goswami visits housewife’s father’s house : বহিঃরাজ্যে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু গৃহবধূর বাবার বাড়িতে গেলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী

নিজস্ব প্রতিনিধি,চুড়াইবাড়ি, ১৮ সেপ্ঢেম্বর৷৷ উত্তর জেলার ধর্মনগর মহকুমার কদমতলা থানাধীন পশ্চিম বাঘন এলাকার জনৈক গৃহবধূ রাজমিনা বেগমের রহস্যজনক ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যূ হয় ব্যাঙ্গালোরে৷ এই রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে রাজমিনা বেগমের মা কদমতলা থানাতে রাজমিনা বেগমের স্বামী আব্দুল হোসেন ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্বে বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা দায়ের করেন৷ পুলিশি মূল অভিযুক্ত আব্দুল হোসেনকে গ্রেফতার করলেও অপর চার অভিযুক্তকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি৷শনিবার রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্নালী গোশ্বামী মৃত গৃহবধূর ধর্মনগরের সাবাসপুর এলাকার বাবার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ান৷এদিন তিনি নিহত রাজমিনা বেগমের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন৷মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্নালী গোশ্বামী দোষীদের কোঠর শাস্তীর দাবি করেন৷


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ধর্মনগর থানাধীন টঙ্গীবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নং ওয়ার্ডের সাবাসপুরের জনৈকা লায়লা বেগমের মেয়ে রাজমিনা বেগমের সাথে চলতি বছরের মার্চ মাসে সামাজিক রিতি মেনে বিবাহ হয় কদমতলা থানাধীন পশ্চিম বাঘন এলাকার জনৈক আব্দুল হোসেনের৷ বিয়ের কিচ্ছূ দিন পর কর্মসূত্রে স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে ব্যাঙ্গালোরে চলে যায় স্বামী৷ তাছাড়া বিয়ের পর থেকেই প্রায় সময় যৌতুকের জন্য রাজমিনাকে রাজমিনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ৷এমনকি একটি টুকটুকও যৌতুক হিসেবে চেয়েছিল আব্দুল হোসেন৷ সম্প্রতি পনেরো বিশ দিন পূর্বে রাজমিনার ভাই বোনকে ব্যাঙ্গালোরে স্বামীর কাছে রেখে আসে৷

তারপর গত বারো সেপ্ঢেম্বর রাজমিনার বাবার বাড়ীতে খবর আসে রাজমিনা ফাঁসি লেগে আত্মহত্যা করেছে৷পরবর্তীতে আব্দুল হোসেন ও রাজমিনার ছোট ভাই মৃতদেহ নিয়ে আগরতলাতে আসে এবং আগরতলা বিমানবন্দরে মৃত দেহ ফেলে স্বামী আব্দুল হোসেন পালিয়ে যায়৷ তারপর মৃতার বাবার বাড়ির লোকজন মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন৷ মৃতদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ণও ছিল৷ বুধবার রাতেই রাজমিনার বাবার বাড়ির লোকজন কদমতলা থানায় রাজমিনার স্বামী আব্দুল হোসেন ও তার চার বন্ধুর নামে বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা রুজু করেন৷কদমতলা থানার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮(এ)/৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে প্রধান অভিযুক্ত মৃতার স্বামী আব্দুল হোসেনকে তার পশ্চিম বাঘন এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে৷তবে বাকি চার অভিযুক্তকেও এখন কদমতলা থানার পুলিশ জালে তুলতে সক্ষম হয়নি৷


এদিকে আজ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী মৃতার বাড়িতে গিয়ে শোক ব্যাক্ত করেন এবং দোষিদের কোঠর শাস্তির দাবি করেন৷আশা ব্যক্ত করেন রাজ্য মহিলা কমিশন মৃত রাজমিনা হত্যার সুষ্ঠ বিচার পর্যন্ত মৃতার পরিবারের পাশে থাকার৷