নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর।। ত্রিপুরায় পদযাত্রার জন্য নতুন দিন স্থির করেছে তৃণমূল। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস পদযাত্রার জন্য অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছে। তবে, ওইদিনও পুলিশ অনুমতি না দিলে আদালতের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে একথা সাফ জানালেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, জনগণের আদালতে বিজেপির সরকার খারিজ হয়ে গেছে। তাই, ভয় পেয়ে তৃণমূলকে আটকাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ১৫ সেপ্টেম্বর সূচী নির্ধারিত করেছিল। কিন্ত, ওইদিন অন্য রাজনৈতিক দলের রেলি রয়েছে, তাই তৃণমূলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল পুলিশ। ওই ঘটনায় বিরক্ত তৃণমূল কংগ্রেস ১৬ সেপ্টেম্বর পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্ত, বিশ্বকর্মা পূজার জন্য আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে ওইদিনও পুলিশ তৃণমূলকে পদযাত্রার জন্য অনুমতি দেয়নি। বার বার আবেদন খারিজ হওয়ায় বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরায় বিজেপি ভয় পেয়েছে তাই পদযাত্রার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। কিন্ত, তাঁরা হাল ছাড়বে না। তাই, ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রার জন্য অনুমতি চেয়ে পুণরায় পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছে তৃণমূল। এক চিঠিতে পদযাত্রার রুট উল্লেখ করা দিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা আবেদনকারী সুবল ভৌমিক।
আজ কুণাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরা পুলিশকে ভুল শোধরানোর জন্য তৃতীয়বারের মতো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগরতলায় দুপুর ২টায় পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আবারও পদযাত্রায় বাধা দেওয়া হলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। তাই, প্রশাসন তৈরী থাকুন। তাঁর দাবি, ত্রিপুরার সমস্ত প্রান্ত থেকে মানুষ ওই পদযাত্রায় সামিল হওয়ার জন্য আসবেন। তাই, বাইরে থেকে লোক আনার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, জনগণের আদালতে বিজেপি সরকার বরখাস্ত হয়েছে। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রতিফলন দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ২২ সেপ্টেম্বরের পদযাত্রার অনুমতি পুলিশ দেবে, না পুণরায় কোন কারণ দেখিয়ে খারিজ করবে তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল। কারণ কুণাল ঘোষ জোর গলায় দাবি করেছেন, বিজেপি দলের ঘনিষ্ঠরাই তৃণমূলের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। তাই, ২২ সেপ্টেম্বর আদৌ তৃণমূল শক্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে না অনুমতির জন্য আবারও হুঙ্কার ছাড়বে, সে-বিষয়ে ইতিপূর্বে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।