নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ সেপ্টেম্বর।। অনলাইন লটারি দুর্নীতি নিয়ে মানহানির মামলায় বড়সর ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন অর্থ মন্ত্রী বাদল চৌধুরী। ওই মামলা পরিচালনার অযোগ্য বিবেচনা করে অভিযুক্ত প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী সহ আরও তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। তাতে আবারও প্রমাণিত হয়েছে, অনলাইন লটারি দুর্নীতি নিয়ে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতার অভিযোগ এবং সিবিআই তদন্তের দাবির যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বাম জমানায় ওই দুর্নীতির ঘটনায় বর্তমান ত্রিপুরা সরকার নতুন করে তদন্ত শুরু করবে কি, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
২০০৫ সালে তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকার ভিডিওকনের সাথে অনলাইন লটারি নিয়ে চুক্তি করেছিল। কিন্ত, তাতে প্রচুর দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তত্কালীন বিরোধী দলনেতা রতন লাল নাথ ওই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন এবং সাংবাদিক সম্মেলনে সমস্ত তথ্য তুলে ধরেছিলেন। তিনি অনলাইন লটারি দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলেছিলেন। কিন্ত, তদানিন্তন ত্রিপুরা সরকার কোন তদন্ত করেনি। বরং অনলাইন লটারি বন্ধ করে দিয়েছিল।
এদিকে দুর্নীতি ঘটনায় মুখ বাঁচাতে তত্কালীন অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী বিরোধী দলনেতা রতন লাল নাথ ও আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। আশ্চর্য্যের বিষয় হল, ওই মামলা বাদল একদিনের জন্যও আদালতে হাজিরা দেননি। দীর্ঘ বছর শুনানি শেষে আজ পশ্চিম জেলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারকের রায়ে ওই মামলা থেকে রতন লাল নাথ সহ সমস্ত অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিয়েছেন।
আদালত রায়ে বলেছে, সিআরপিসি ১৯৯(২) ধারা মোতাবেক ওই মামলা পরিচালনার জন্য অযোগ্য। কারণ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে মামলাকারী ব্যর্থ হয়েছেন। আদালতের বক্তব্য, বাদল চৌধুরীর মানহানি হয়েছে আদালতে তা প্রমাণিত হয়নি। তাই, ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধি ৫০০, ৫০১ এবং ৩৪ ধারায় দায়ের মামলা থেকে রতন লাল নাথ সহ আরও তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হল।