BRAKING NEWS

Priority has been given to setting up industries : রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে শিল্প স্থাপনের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে : শিল্প ও বণিজ্য মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে শিল্প স্থাপনের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যে নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করতে হবে৷ রাজ্যে নতুন শিল্প স্থাপনে উদ্যোগীদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দিতে হবে৷ আজ সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির পর্যালোচনা করে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব একথা বলেন৷ পর্যালোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার গত সাড়ে তিন বছরে রাজ্যের শিল্প উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলছে৷ শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে তা দ্রত ও সময়ের মধ্যে রূপায়ণ করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে৷ শিল্পের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সময় সময় শিল্প কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন মন্ত্রী শ্রীদেব৷


সভায় শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা টি কে চাকমা জানান, রাজ্যে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ এই চারটি অর্থবর্ষে ৫,৮৫৮টি ক্ষুদ্র, ৮৬৮টি ছোট এবং ২৯টি মাঝারি শিল্প ইউনিট রেজিস্ট্রেশন হয়েছে৷ তাতে মোট ৪৫ হাজার ৭৭২ জনের কর্মসংস্থানের সুুযোগ সৃষ্টি হয়েছে৷ বিনিয়োগ হয়েছে মোট ৯৫০ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা৷ তিনি আরও জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৭টি ইণ্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট এবং বোধজংনগর ও আরকে নগরে ২টি ইণ্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার রয়েছে৷ বোধজংনগর শিল্পা’লে রয়েছে ফুড পার্ক, ব্যাম্বো পার্ক, এ’পোর্ট প্রোমোসন ইণ্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, রাবার পার্ক ইত্যাদি৷ শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রকল্পে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ এই তিন অর্থবছরে মোট ৩,১৬৯ জনকে ১৮৯ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকার ঋণ প্রদান করা হয়েছে৷ এছাড়াও ঐ তিন অর্থবছরে স্বাবলম্বন প্রকল্পে ৬ হাজার ৪৪ জনকে ১৬৭ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার ঋণ প্রদান করা হয়েছে৷ তিনি জানান, রাজ্যে বর্তমানে শ্রীনগর এবং কমলাসাগরে ২টি বর্ডার হাট রয়েছে৷ কমলপুর ও রাগনায় আরও ২টি বর্ডার হাট স্থাপনের অনুমোদন পাওয়া গেছে৷ রাজ্যে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মোট ১,৯৪৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকার বৈদেশিক বাণিজ্য হয়েছে৷


শিল্প দপ্তরের অধিকর্তা সভায় আরও জানান, রাজ্যে বর্তমানে ১৮টি সরকারি এবং ২টি বেসরকারি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ তাতে মোট ৪,১৫০ জনের পড়াশুনার সুুযোগ রয়েছে৷ এছাড়াও সভায় তিনি চা শিল্প, বাঁশ শিল্প, রাবার শিল্প, প্রাক’তিক গ্যাস, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ পর্যালোচনা সভায় স্কিল ডেভেলপমেন্ট অধিকর্তা স’য় চক্রবর্তী জানান, প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ২.০ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৮৯১ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ সমর্থ প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১,৫৪৮ জনকে হস্ততাঁত ও হস্তকারু শিল্পের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও স্কিল ডেভেলপমেন্ট দপ্তর জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অর্থে ৫৪০ জনকে, তপশিলী জাতি কল্যাণ দপ্তরের ফাণ্ডে ২৬৮ জনকে, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের ফাণ্ডে ৩৬৯ জনকে, বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ফাণ্ডে মোট ২,৪১৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷ এরমধ্যে অনেকের কর্মসংস্থানের সুুযোগ সৃষ্টি করেও দেওয়া হয়েছে৷ পর্যালোচনা সভায় শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব ডা. প্রশান্ত কুমার গোয়েল ও দপ্তরের অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *