BRAKING NEWS

Lack of medical services : রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা এখনো অনেক হাসপাতালে বেহাল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ সেপ্টেম্বর।। সরকার পরিবর্তন হলে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার আমূল পরিবর্তন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি অথৈ জলে। রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হয়ে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা এখনো অনেক হাসপাতালে বেহাল। বেহাল চিকিৎসা এবং হাসপাতালের বেহাল পরিষেবার জন্য দিনের-পর-দিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিশালগড় মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল বর্তমানে নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে। খবরে প্রকাশ, রবিবার সকালে প্রায় ৫ ঘণ্টা যাবৎ বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। আসন্ন দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে বিশালগড় মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সারাইয়ের কাজের জন্য সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ ছিল।

তাতে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল লোডশেডিং এর কবলে পড়ে।ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। যার দরুন গ্রীষ্মের খরতাপে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মীদের ঘরে সোলার সিস্টেম এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু থাকলেও , হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর ঘরে ছিল না বিদ্যুৎ।যার ফলে রোগীরা গ্রীষ্মের দাবদাহে আরো অসুস্থ্য্ হয়ে পড়ে, যা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা অভিযোগ করেন দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ঘরে বিদ্যুৎ নেই। অথচ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসাকর্মীদের ঘরে বিদ্যুৎ আছে। তাদের অভিযোগ হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিদ্যুৎ চলে গেলে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়। ব্যাকআপ দেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা না থাকলেে রোগীরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতির্ময় দাসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ বিশালগড় মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতির্ময় দাস হাসপাতালে না গিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। যার দরুণ বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল দিনের পর দিন করুন দশায় পরিণত হচ্ছে।অবিলম্বে বিশালগড় হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানোর সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *