BRAKING NEWS

করিমগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশিদের হাতে ধর্ষিতা তিন, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তৎপর প্রশাসন

করিমগঞ্জ (অসম), ০১ মার্চ, (হি.স.) : করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জারাপাতায় কতিপয় বাংলাদেশি কর্তৃক দুই যুবতী-কিশোরী ও তাঁদের মাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাকে পুলিশ প্রশাসন ধামাচাপা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পীড়িতদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক।

গতকাল মঙ্গলবার শেষরাতের দিকে সীমান্ত লাগোয়া জারাপাতার বাসিন্দা বছর ৪৮-৫০-এর জনৈক মহিলার বসতঘরে হানা দেয় কতিপয় বাংলাদেশি যুবক। এরা ওই মহিলার পাশাপাশি বছর ২০-২১ এবং বছর ২৩-২৫-এর দুই মেয়ের ওপর উপর্যুপরি দলবদ্ধ ধর্ষণ চালায়। ধর্ষণের ফলে তিন মহিলাই প্রাসঙ্গিক উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ বুধবার ভোরের দিকে তাঁদের করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদিকে, কুকাণ্ড করে বাংলাদেশি ধর্ষকরা আবার অবাধে সীমান্ত পেরিয়ে তাদের গন্তব্যস্থলে চলে যায়। রহস্যজনভাবে তাদের টিকির নাগালই পায়নি সীমান্তপ্রহরী বিএসএফ।

ইত্যবসরে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে পুলিশ ও বিএসএফ নানা উপায় অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ও বিএসএফ-এর দাবি, ঘটনাটি ধর্ষণজনিত নয়, মারপিটের। কতিপয় দুষ্কৃতী মহিলাটির বাড়িতে ডাকাতি করতে এসে বেধড়ক মারধর করায় তারা জখম হয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ ও বিএসএফের দাবি এক বাক্যে নস্যাৎ করে দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, নুন আনতে যাদের পানতা ফুরোয় তাদের ঘরে ডাকাত পড়বে, কে বিশ্বাস করবে? তাছাড়া ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের ডিআইজি এসে পীড়িতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের আনাগোনা, তড়িৎগতিতে আর্থিক সাহায্য প্রদান — গোটা বিষয়টি তাঁদের কাছে ঘোলাটে ঠেকছে।

গতকাল শেষ রাতে সংঘটিত ঘটনাকে পুলিশ প্রশাসন ও বিএসএফ কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দিচ্ছে অনুমান করে গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কানে তোলেন করিমগঞ্জের বাসিন্দা তথা পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। সত্য ঘটনা তাঁর কাছে লিখিতভাবে জানাতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তাপ বিরাজ করছে করিমগঞ্জে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *