BRAKING NEWS

পনের কিমি পাহাড়ি পথ পেরিয়ে হলং সিকি মৌতাই দেবীর আরাধনায় হাজারো পূণ্যার্থী

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৫ ফেব্রুয়ারী৷৷ আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে বড়মুড়াস্থিত বানথাকারছড়ার

বড়মুড়াস্থিত বানথাকারছড়ার পাশে মা হলং সিকি মৌতাই দেবীর মন্দিরে হাজার হাজার পূণার্থী পূজা দিতে যান৷ শনিবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

পাশে প্রতি বছরের মতো এবারও ঐতিহ্যবাহী মা হলং সিকি মৌতাই এর শিব চতুর্দশীতে দুইদিন ব্যাপী পূজা ও মেলার আয়োজন করা হয়৷ এই বছর ঘটা করে এই পূজা ও মেলার আয়োজন হয়৷
তেলিয়ামুড়া শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার চড়াই উৎরাই পাহাড়ি পথ পেরিয়ে উত্তর পুলিনপুর এডিসির দুস্কি হাওয়র এলাকায় বড়মুড়াস্থিত মা হলং সিকি দেবীর মন্দির৷ প্রতি বছর শিব চতুর্দশীতে দুই দিনব্যাপী পূজা ও মেলা হয়ে থাকে৷ গত ত্রিশ বছর ধরে চলছে এই পূজা ও মেলা৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থীরা দেবী দর্শনে যান৷ দুই দিনব্যাপী পূজাতে কয়েকশ মুরগী ও পাঠা বলির প্রথা রয়েছে৷ মন কামনা নিয়ে খুব হাজার হাজার ভক্ত সেখানে যান৷ জাতি উপজাতি উভয় অংশের মানুষ পূজা দেন৷ কয়েক দশক ধরে হলং সিকি দেবীর হলং সিকি দেবীর পূজা হচ্ছে৷ ভক্তদের দাবি এই দেবী জাগ্রত৷ এদিকে, এলাকার জনগণ দেবীকে জাগ্রত হিসেবেই মানেন৷ দেবীর অবতার সম্পর্কে বলেত গিয়ে এলাকাবাসী বিনোদ দেববর্মা জানান,

শীলা রূপে দেবী৷ শনিবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

আসাম- আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে বড়মুড়াস্থিত বানথাকার ছড়ার পাশে শ্রীশ্রী মা হলং সিকি দেবী অবতার রূপে দর্শন দিয়েছিলেন৷ এই স্থানে প্রায় হাজার হাজার বছর যাবৎ এক শীলাখন্ড পড়ে রয়েছিল৷ কিন্তু সেই সময় কোন লোক তাহর প্রমাণ না পেয়ে জনগণ শীলা খন্ডকে অবহেলা করতে থাকেন৷ ত্রিশ বছর পূর্বে এক জুমিয়া ঐ শীল খন্ডের পাশে জুম ফল কেটে এই স্থানটিতে রেখে অগ্ণি সংযোগ করলে ঐ অদ্ভুত শীলাখন্ডটি ফেটে যায়৷ এর পর কয়েকদিন কাটতে না কাটতে আশেপাশের গ্রামগুলিতে মহামারীর ন্যায় জীবযন্তু মারা যেতে থাকে৷ একজন কাঠুরিয়া ঐ শীলা খন্ড থেকে টাকা তুলে নিলে হলম সিকি পাথরটি বাঘের রূপ নিয়ে কাঠুরিয়াকে আক্রমণ করে বলে কথিত রয়েছে৷ সেই থেকে ১৩৮৭ বাংলা সালে শুরু হয় শিবরাত্রীর দিনে দিবারাত্রী উৎসব ও মেলার আয়োজন৷ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা মন কামনা নিয়ে দেবীর পূজর্চনা করেন৷ দোকামী মেলাকে কেন্দ্র করে পসরা সাজিয়ে বসেন৷ সারা দিন রাত ব্যাপী চলে হরিনাম কীর্তন৷ এবছরও পুণ্যর্থীদের ভীড় লক্ষ্য করা গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *