করিমগঞ্জ মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মচারী ইউনিয়নের ডাকে বিক্ষোভ

করিমগঞ্জ (অসম), ২১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ ২১ ফেব্রুয়ারি সারা অসম মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মচারী ইউনিয়নের ডাকে করিমগঞ্জ জেলার মহাকল, রামকৃষ্ণনগর, পাথারকান্দি এবং করিমগঞ্জে রন্ধন কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। করিমগঞ্জ জেলাশাসকের অফিস প্রাঙ্গণে বিক্ষোভস্থলে জমা হন করিমগঞ্জ শিক্ষা ব্লকের অধীনে কর্মরত রন্ধন কর্মীরা।

একই ভাবে রামকৃষ্ণনগর, পাথারকান্দি, মহাকল শিক্ষা ব্লকে অঞ্চলে রন্ধন কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাঁদের দাবি, প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রন্ধন কর্মীদের প্রাপ্য ১,৫০০ টাকা পারিতোষিক মিটিয়ে দেওয়া, সাম্প্রতিক অতীতে নিযুক্তিপ্রাপ্ত রন্ধন কর্মীদের নিয়োগের দিন থেকে বকেয়া পারিতোষিক মিটিয়ে দেওয়া, রন্ধন কর্মীদের বছরে বারোমাসের পারিতোষিক প্রদান করা, রন্ধন কর্মীদের ন্যূনতম ৬,০০০ টাকা মজুরি প্রদান করা, রন্ধন কর্মীদের পরিচয়পত্র প্রদান করা, রন্ধন কর্মীদের অন্য সরকারি কর্মচারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

ভারতবর্ষের অনেক রাজ্যেই মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মীরা ৭,৫০০ টাকা পারিতোষিক সহ ইউনির্ফম, উৎসব ভাতা ইত্যাদি পেয়ে থাকেন। অসমে তারা মাসিক মাত্র ১,৫০০ টাকা ভাতা পান, তা-ও তিন চার মাস পর পর কখনও ৫০০ টাকা ভিত্তিতে, কখনও ১,০০০ টাকা ভিত্তিতে পেয়ে থাকেন। তাই অনেকেই কোন মাসের ভাতা পাচ্ছেন তা বেশিরভাগ সময় বুঝতেই পারেন না। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের ডাইরেক্ট বেনিফিট স্কিম, রাজ্য সরকারের মধ্যাহ্ন ভোজনকে ব্যক্তি মালিকানায় তুলে দেওয়ার অহরহ ষড়যন্ত্রের ফলে তাঁদের কাজের উপর সব সময়েই ছাঁটাইয়ের খাঁড়া ঝুলছে।
এই অবস্থায় ইউনিয়নের করিমগঞ্জ জেলা কমিটি উপরোক্ত দাবির ভিত্তিতে আজ জেলার সবগুলি শিক্ষা ব্লক সহ করিমগঞ্জ জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়। বিক্ষোভের পর দাবি সংবলিত স্মারকপত্র জেলাশাসক সহ জেলার সকল খণ্ড শিক্ষা আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

করিমগঞ্জে বিক্ষভের নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিয়নের করিমগঞ্জ কমিটির সভানেত্রী সান্ত্বনা মালাকার, সম্পাদিকা বাহারুন্নেসা বেগম চৌধুরী, জেলা কমিটি সদস্য শীলা দে, গৌরী শর্মা, কালিপদ নাথ, বদরপুরে নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিয়নের জেলা সভাপতি পার্থসারথি হাজরা, রুকিয়া খানম, রুকিয়া বেগম, লক্ষ্মী গৌর, রামকৃষ্ণনগরে নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিয়নের জেলা সম্পাদিকা রুমা ধর, আব্দুল কাদির, সন্ধ্যা পাঁসি, রিনা নুনিয়া, পাথারকান্দিতে নেতৃত্বে ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য মহীতোষ ভট্টাচার্য, অর্চনা ঘোষ, জয়া দে, হামিদ উদ্দিন প্রমুখ।