ছাত্রীর পথ আটকে হামলা রামপুরহাটে

রামপুরহাট, ১৫ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাধ্যমিকের এক ছাত্রীর উপর চড়াও হল চার–পাঁচ জন যুবক । ছাত্রী পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ও হাতে আঘাত করে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।রামপুরহাট শহরের প্রান কেন্দ্রে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।সন্ধ্যায় মূল অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।

Iটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট শহরে প্রান কেন্দ্র স্কুল পাড়ায় । ওই ছাত্রীর বাড়ি রামপুরহাট শহরের ভাঁড়শালা মসজিদ পাড়ায়। বুধবার দুপুরে রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকের অ্যাডমিড কার্ড নিয়ে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। স্কুল থেকে মহকুমা শাসকের বাংলোর গা ঘেঁষে যাওয়া রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। ঐ রাস্তা টি অত্যন্ত জনবহুল। ঐ রাস্তার পাশেই জিতেন্দ্র লাল গ্রন্থাগার, সমবায় ব্যাঙ্ক, খাদ্য দফতরের অফিস। কাছেই জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবন। এরকম একটি জনবহুল রাস্তার উপর চার-পাঁচ দুষ্কৃতী ঐ ছাত্রীর রাস্তা আটকায়।মুখে রুমাল বেঁধে ঐ ছাত্রী কে থামতে বলে। ছাত্রীটি ওদের কে দেখে পিছন ঘুরে দৌড়তে থাকে। পালানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করলে ঐ দুস্কৃতিরা পিছন ধাওয়া করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রী টির গলায় ও হাতে আঘাত করে। ছাত্রীটি রক্তাক্ত অবস্থায় প্রান বাঁচাতে চিৎকার শুরু করে। লোকজন জড়ো হতেই দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।

ওই ছাত্রী টি জানায়, “ওদের প্রত্যেকের মুখ রুমাল দিয়ে বাঁধা ছিল। তবে একজন তার পরিচিত মনে হয়েছে। কারণ এর আগেও ওই ছেলেটি একাধিকবার উত্যক্ত করেছে। সেই আরও কয়েকজন কে নিয়ে এসে আমাকে রাস্তায় আটকায়। আমাকে ওরা তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ।”

ছাত্রীর মা বলেন, “ সিটন শেখ নামে একটি ছেলে মাঝে মধ্যেই মেয়েকে উত্যক্ত করত। মেয়ে বাড়িতে সেকথা জানিয়েছিল। আজ স্কুলে অ্যাডমিড কার্ড আনতে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথেই ওরা হামলা চালানো। এর আগেও একদিন গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে ফিরছিল। তখন ওকে ঘিরে ধরে বলেছে বিয়ে না করলে মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেব। সিটন বলে ওই ছেলেটাই মেয়ের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা চাই সিটনকে গ্রেফতার করে বাকিদের বের করা হোক”।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা হালদার বলেন, “খুবই ভয়ঙ্কর ঘটনা। আমাদের স্কুলে ছাত্রীদের অনেক চাপ। মাঝে মধ্যে স্কুলের বাইরে কাউকে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ মাঝে মধ্যে টহল দেয়। তবে আমি বলব অভিভাবকরা মেয়েদের নিয়ে যাওয়া আসা করুক”।