ওয়াশিংটন: ভারতীয় রাষ্ট্রদূত স্পষ্টভাবে জানালেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে নয়, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুদ্ধ করছি।” সম্প্রতি ওয়াশিংটনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে ঘটে যাওয়া নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলাই এই উত্তেজনার সূচনা।
রাষ্ট্রদূত জানান, “পাকিস্তান-সমর্থিত চারজন সন্ত্রাসী ২৬ জন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ড ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল এবং তাদের পরিবারের সামনে ঘটানো হয়েছিল। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়াতেই আমরা ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরিচালনা করি।”
তিনি বলেন, ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল পরিকল্পিত ও পরিমিত। দেশজুড়ে নয়টি স্থানে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটিতে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। “আমরা কেবলমাত্র সেই সমস্ত সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদেরই টার্গেট করেছি, যারা এই নির্মম হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল,” তিনি জানান।রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “সম্পূর্ণ জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। একমাত্র বিষয় হলো — পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভারতীয় অংশে ফিরে আসা।”
পাকিস্তানের অকারণ গোলাগুলি এবং ভারতের শহরগুলিকে লক্ষ্য করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি প্রমাণ করে পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের পাশে রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, “পাকিস্তান পদক্ষেপ না নিয়ে বরং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে।”
রাষ্ট্রদূতের মতে, পাকিস্তানের অস্বীকার নীতি কোনও নতুন বিষয় নয়। তিনি উদাহরণ দেন ৯/১১ হামলা, ২৬/১১ মুম্বই হামলা ও অন্যান্য পাকিস্তান-সমর্থিত হামলার। জিজ্ঞাসা করা হলে যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কি যুদ্ধ চলছে? জবাবে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি।” তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে সতর্ক করে বলেন, “গত তিন দশক ধরে পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, তা নিয়ে গোটা বিশ্বের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, এপ্রিল ২২-এর পাহালগাম হামলার পর ২৪ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। এরপরই পাকিস্তান ১৫টি শহরে হামলার চেষ্টা চালায়, যেগুলিকে ভারত সফলভাবে প্রতিহত করে। ভারত পরে পাকিস্তানের একাধিক বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়।