করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি ১৪৪ ধারা

করিমগঞ্জ (অসম) ২৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

করিমগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জারিকৃত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নাশকতাকারী চক্রের চলাচলের ফলে জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি জেলার সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলি দিয়ে অবৈধ সামগ্রী, গরু পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে এবং এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিহত করতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করো হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা অনুসারে কোনও ব্যক্তি সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত করিমগঞ্জ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত তীরবর্তী ৫০০ মিটার এলাকায় চলাচল করতে পারবেন না। পাশাপাশি সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি কুশিয়ারা নদীর পাশে এবং করিমগঞ্জ জেলার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে চলাচল করতে পারবেন না।
কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট এলকার সার্কল অফিসারের অনুমতি না নিয়ে এবং তা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিএসএফ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নি নিয়ে কুশিয়ারা নদীতে মাছ ধরার জন্য কোনও ধরনের নৌকা চালাতে পারবেন না। এছাড়া কোনও ব্যক্তি কোন ধরনের যান, ঠেলা, রিকশা অথবা অন্য কোনও মাধ্যমে চিনি, চাল, আটা ময়দা, ভোজ্য তেল, কেরোসিন তেল, লবণ ইত্যাদি সামগ্রী নিয়ে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত করিমগঞ্জ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত তীরবর্তী এলাকা থেকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় চলাচল করতে পারবেন না।

তবে করিমগঞ্জ, বদরপুর, নিলামবাজার, পাথারকান্দির সার্কল অফিসাররা তাঁদের নির্ধারিত এলাকায় প্রয়োজনে চলাচলের অনুমতি দেবেন। বিশেষ কারণে সময়, স্থান ইত্যাদি স্থানীয় সরবরাহ আধিকারিকের যাচাইকৃত প্রমাণপত্রের প্রতিলিপি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট বিএসএফের কমান্ডেন্টকে প্রদান করার পর চলাচলের অনুমতি প্রদান করা হবে। এই আদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে করিমগঞ্জ জেলায় বলবৎ হয়েছে এবং পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *