গুয়াহাটি, ২২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে অসমের ৩১-তম রাজ্যপাল হিসেবে পদ ও গোপনীয়তার শপথ নিলেন গুলাবচাঁদ কাটারিয়া। আজ বুধবার সকাল ১১.১৫ মিনিটে স্থানীয় শ্ৰীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্ৰ প্ৰেক্ষাগৃহে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন গুয়াহাটি উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস সন্দীপ মেহতা।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অসমের ফার্স্ট লেডি অনিতা কাটারিয়া, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, প্রায় সব মন্ত্রী, কয়েকজন সাংসদ–বিধায়ক, মুখ্যসচিব পবনকুমার বরঠাকুর, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক, বিজেপির নেতৃবর্গ এবং বহু সরকারি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
শপথগ্রহণের পর নতুন রাজ্যপালকে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কলাক্ষেত্রের প্রবেশদ্বারে গুয়াহাটি উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস সন্দীপ মেহতা এবং নতুন রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়াকে স্বাগত জানিয়ে মূল অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। প্রসঙ্গত, নবাগত রাজ্যপাল কাটারিয়া অধ্যাপক জগদীশ মুখির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গোলাপচাঁদ কাটারিয়া ১৯৪৪ সালের ১৩ অক্টোবর রাজস্থানের উদয়পুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর একজন স্বয়ংসেবক। আরএসএস-এর কার্যকর্তাও ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় বহুদিন ছিলেন কারাবাসে। কারামুক্ত হওয়ার পর সংঘের নির্দেশে ১৯৭৭ সালে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি।
দলের নির্দেশে ১৯৭৭ সালে রাজ্য বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথমবারের মতো বিধায়ক নির্বাচিত হন। তার পর ১৯৮০ সালে ফের রাজস্থানের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। উদয়পুর আসনে নবম লোকসভার সাংসদও নির্বাচিত হয়েছিলেন গুলাবচাঁদ। এর পর ১৯৯৩ সাল থেকে আবার রাজ্য রাজনীতি চলে যান।
ওই সালের পর সব বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন তিনি। তিনি রাজস্থানের বিজেপি সরকারের গৃহমন্ত্রীও ছিলেন। রাজ্যপাল পদে নিয়োগের আগ পর্যন্ত তিনি রাজস্থান বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন।