ঝাড়গ্রাম, ৪ ফেব্রুয়ারি ( হি. স.): একের পর এক হাতির হানায় মৃত্যু ও আহতের ঘটনা ঘটতে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে বনদফতরের। হাতির দলকে সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা বনকর্মীদের। এদিন শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার ওডিশা সীমান্তবর্তী নয়াগ্রাম ব্লকের কেশররেখা রেঞ্জ জামডহরা গ্রামে আবারও হাতির আক্রমণে গুরুতর ভাবে জখম হয় এক ব্যক্তি।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আহত ওই ব্যক্তির নাম ক্ষুদিরাম মুর্মু। বাড়ি ওই গ্রামে। বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে এদিন শীতের সকালে কুয়াশা থাকার কারনে হাতিটিকে দেখতে পাননি তিনি। স্থানীয় সূত্রে গিয়েছে এদিন ক্ষুদিরাম মুর্মু সকালে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই একটি হাতি ওড়িশার দিকে এসে কেশররেখা রেঞ্জের জামডহরা গ্রামে ঢুকে যায়। কুয়াশা থাকার কারনে হাতিটিকে দেখতে না পাওয়ায় একেবারে হাতির সামনে পড়ে যান ক্ষুদিরাম বাবু। ওই হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে ধরে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর ভাবে আহত হন তিনি। পরে স্থানীয় মানুষজনের হাতিটিকে তাড়া করলে গ্রামের পাশের জঙ্গলে প্রবেশ করে হাতিটি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি করে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ শে জানুয়ারি গিধনী রেঞ্জের আমতলিয়া বীটের বড়রাজগ্রামে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় নীলমণি মান্ডি নামে এক বৃদ্ধার। তার আগে গত ১৭ জানুয়ারি গিধনী রেঞ্জের শালিকাগ্রামে আগুন পোহানোর সময় গ্রামে ঢুকে যায় একটি হাতি। হাতির আক্রমণে প্রাণ হারান বছর আটচল্লিশের এক ব্যক্তি। চলতি বছরে শুধু জানুয়ারি মাসে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুরুষ ও এক বৃদ্ধা মহিলা এবং চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাতির আক্রমণে গুরুতর ভাবে আহত হলেন এক ব্যক্তি।
এবিষয়ে খড়্গপুরের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন,” এদিন সকালে হাতিটি ওড়িশার দিক থেকে নায়াগ্রাম ব্লকের কেশররেখা রেঞ্জ প্রবেশ করে। কুঁয়াশা থাকার কারনে ওই ব্যক্তি হাতিটিকে দেখতে পাননি। তবে বনদফতর ওই ব্যক্তির যাবতীয় চিকিৎসা করাচ্ছেন। আপাতত মানুষটি সুস্থ্য রয়েছেন।”