ঝাড়গ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল যাত্রীবাহী বাস

ঝাড়গ্রামে, ১ ফেব্রুয়ারি ( হি. স.) : আবারও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল যাত্রীবাহী বাস। ঝাড়্গ্রাম শহরের সারদা বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙ্গে ঢুকে যায় বাসটি। বাসের নীচে চাপা পড়ে গুরুতর ভাবে আহত হলেন এক পথচারী ও একটি গবাদিপশু। বুধবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়্গ্রাম শহরের সারদা বিদ্যাপীঠ এলাকায়। এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর বেলপাহাড়ি রুটের একটি যাত্রীবাহী বাস এদিন দুপুরে লোধাশুলির দিক থেকে ঝাড়্গ্রামের দিকে আসছিল। সেই সময় ঝাড়্গ্রাম ঢোকার মুখে সারদা বিদ্যাপীঠ এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙ্গে ঢুকে যায়। ওই সময় প্রাচীরের পাশে এক পথচারী ও একটি দাঁড়িয়ে ছিল। দুর্ঘটনায় জিতেন সিং নামে এক ব্যক্তি ও গোরুটি বাসের তলায় চাপা পড়ে গুরুতর ভাবে আহত হয় । আহত ব্যক্তির বাড়ি ঝাড়্গ্রাম থানার কেওদিশোল গ্রামে। পরে স্থানীয় মানুষজন ও ঝাড়্গ্রাম থানার পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় জিতেন সিংকে উদ্ধার করে ঝাড়্গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এদিকে ব্যাস্ত সময়ে পথ দুর্ঘটনাটি ঘটায় ঝাড়্গ্রাম লোধাশুলি রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বেশ কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষজনেরা।
এবিষয়ে বাসযাত্রী উমা মাহাত বলেন, “হঠাৎ করে বাসটি ডান দিকে ট্রান নিয়ে প্রাচীর ভেঙ্গে ঢুকে যায়। প্রাচীরের পাশে একজন মানুষ ও একটি গোরু দাঁড়িয়ে ছিল। তাদেরকে চাপা দিয়ে বাসটি প্রাচীরের ভেতরে ঢুকে যায়। কি ভাবে হল তা বলতে পারবো না।” উল্লেখ্য ২১ শে জানুয়ারি চিল্কীগড় গিধনী পিচ রাস্তার মাঝে তুলসীবনী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি শাল গাছ ধাক্কা মেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। ওই ঘটনায় কম বেশি আহত হয়েছিলেন ৩০ জন বাস যাত্রী। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ১২ জন পুরুষ ও মহিলাকে। ২৪ জানুয়ারি সাঁকরাইল থানার মুকুন্দপুর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দিয়ে হেঁটে যাওয়া তিন ব্যক্তিকে ধাক্কা মারলে গুরুতর ভাবে আহত হন, তাদেরকেও ঝাড়্গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *