হাটশিঙিমারি (অসম), ২৪ নভেম্বর (হি.স.) : আজ লাচিত দিবস। চারশো বছর আগে এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন তদানীন্তন অবিভক্ত অসমের সর্বকালীন মহাবীর লাচিত বরফুকন। আজ বৃহস্পতিবার শৌর্যবীর্যের প্রতীক এই মহাবীরের ৪০০-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অসমের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে নয়াদিল্লিতেও উচ্ছ্বলতার সঙ্গে লাচিত দিবস পালন করা হচ্ছে। অসমে ৪০০-বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে লাচিত বরফুকনের জন্মবার্ষিকী বিভিন্ন কার্যসূচির মাধ্যমে সাত দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে।
একইভাবে দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলায়ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ১৮ নভেম্বর থেকে নানা কার্যসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে লাচিত বরফুকনের জন্মজয়ন্তী। আজ জেলা সদর হাটশিঙিমারিতে জেলার সাধারণ এবং পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার ৪০০ জন দরিদ্র মানুষকে বীর লচিত দিবস উপলক্ষ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণের জন্য হাটশিঙিমাড়ির পুলিশ সেনানিবাস প্রাঙ্গণে বিশেষ বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার হরেন টকবি, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, মানকাচরে সার্কল পুলিশ অফিসার তিলকচন্দ্র রায়, হাটশিঙিমারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, ফুলেরচর গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি আবু বক্কর সহ জেলার অনেক প্রবীণ নাগরিক।
এর পর সভায় আমন্ত্রিত গরিব মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন পুলিশ সুপারের পাশাপাশি উপস্থিত অতিথিরা। তাঁরা তাঁদের নিজের ইচ্ছানুযায়ী কম্বল দান করার পরে মোট ৪০১টি কম্বল জমা দেওয়া হয়েছে। আয়োজিত সভার মাধ্যমে হাটশিঙিমারি এলাকার ১৫০ জন দরিদ্র মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। বাকি ২৫১টি কম্বল চারটি থানা ও দুটি পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বীর লাচিত দিবস উপলক্ষ্যে শীতের সময় গরিবদের কম্বল বিতরণের কর্মসূচি সম্পর্কে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মহল তথা হাটশিঙিমারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম পুলিশের প্রশংসা করে বক্তব্য পেশ করেছেন।
উল্লেখ্য, আজ জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা লাচিত দিবস পালন করেছেন।