Left-wing land robbers still : বাম জমানার জমি ডাকাতরা বহাল তবিয়তে, সরকারি ভূমির যথেচ্ছ কেলেংকারীর সুরাহা নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ দীর্ঘ বাম জমানায় বহু জমি এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল বন্দোবস্ত পেয়েছে৷ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে এই সব বেআইনী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্য্যকর করা হয়নি৷ এই জমি বন্টন কেলেঙ্কারি বাম আমলে চুপিসারেই হয়েছে৷ প্রতিবাদী শক্তি সোচ্চার হতে সাহসী হয়নি৷ সংগীত গ্রাম, কৃষক সেবা কেন্দ্র, যাদু কেন্দ্র ইত্যাদির নামে বিস্তর সরকারি জমি বিলি বন্টন হয়৷ কিন্তু কাজের কাজ অষ্টরম্বা৷ এর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী উঠলেও বর্তমানে তাও প্রায় চাপা পড়ে আছে৷ সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় অনেক মূল্যবান জায়গা নেতার আত্মীয় ও পরিজনদের নামে বন্দোবস্ত করিয়ে নেয়া হয়৷ বটতলা টিআরটিসি স্ট্যান্ডের জমিও বাম প্রভাবশালীদের মধ্যে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়৷ তখন ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি৷ ফলে, জমি ডাকাতির ঘটনা বাড়তেই থাকে৷


জমানা বদলের সাথে সাথে জমি প্রাপক সুবিধাভোগীরা রাতারাতি বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সাথে গোপন যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে৷ আর এজন্যই তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না৷ রাজ্যে অনেক ভূমিহীন আছেন যারা ভূমির অভাবে কিছুই করতে পারছেন না৷ তারা বঞ্চিত হচ্ছেন৷ সরকারি জমি বন্টনের জন্য নামকাওয়াস্তে একটি কমিটিও আছে৷ তাদের অভিযোগও সরকারি পর্য্যায়ে কলাপাতার সমান বলে অভিযোগ করেছেন৷ এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বর্তমানে যেসব সরকারি জমি পতিত আছে সেগুলি বিলি বন্টনের ক্ষেত্রে বা বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রশ্ণে একটি শক্তিশালী নীতিনির্দেশিকা প্রণয়ন করার তাগিদ এসেছে৷ জমি লুটের তদন্ত করলে বহু কেলেংকারী বেরিয়ে আসবে৷ এই কলংকিতরাই এখন তলে তলে ক্ষমতাসীনদের ভীড়ে মিশে যাচ্ছেন৷ অদূর ভবিষ্যতে জমি লুট ইত্যাদির বিরুদ্ধে সরকার শক্তিশালী ভূমিকা না নিলে রাজ্যের প্রভূত ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে৷


এদিকে, রাজধানী আগরতলা শহরের আশেপাশে প্রচুর সরকারি জমি তথা খাস জমিতে ভূমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে৷ বাড়ি ঘর করে বসবাসও করছেন৷ আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে যাদেরকে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে তারা আবার তাদের বাড়ির আশেপাশের জায়গা দখল করে নিয়েছেন৷ এমন ঘটনার অভাব নেই৷ তাছাড়া যেসব সংস্থার নামে সরকারি জমি দেয়া হয়েছে সেই সব সংস্থার অস্তিত্বই নজরে নেই৷ কোটি কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নিয়েছে ওইসব সংস্থা৷ কিছু সংস্থাতো আবার যে কারণে জমি নিয়েছিল তা না করে অন্য ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে৷