নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২২ সেপ্ঢেম্বর৷৷ উত্তর জেলার বিভিন্ন হাট বাজার সহ ধর্মনগর শহরে ছেয়ে গেছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও দুনম্বারি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেট জাতীয় খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে সাবান শ্যাম্পু ইত্যাদি৷কিন্তু খাদ্য দপ্তর হোক বা স্বাস্থ্য দপ্তর,সংশ্লিষ্ট কোন দপ্তরেরই হেলদোল পরিলক্ষিত হচ্ছে না৷ এমনকি বিভিন্ন সময় সাধারণ জনগনের তরফে দপ্তর গুলিতে অভিযোগ জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না৷ মহকুমাবাসীদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ণ দেখা দিচ্ছে এই অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে গোপনে একাংশ সরকারী কর্মচারীদের সাথে বোঝাপড়া নেই তো?
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার বিকালে ধর্মনগর বাজারের বিবেকানন্দ রোডে এই ধরনের দুনাম্বারি শিশু খাদ্য সামগ্রী বিক্রির অভিযোগে হইচই রব পরে যায়৷ শত শত মানুষ ভীর জমায় সংশ্লিষ্ট স্থানে৷ জানা গেছে ধর্মনগর বি কে রোডের একটি বেসরকারি শপিং মলের সামনে বসে দীর্ঘ প্রায় কয়েকদিন ধরেই শিশু খাদ্য সামগ্রি বিক্রি করে আসছিল জনৈক এক ব্যবসায়ী৷ বোষ্ট নামক এই প্রডাক্টের দামের চাইতে অনেক কম দামেই বিক্রি করছিল জনৈক ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ৷ এতে পথচলতি সাধারণ মানুষের কিছুটা সন্দেহের দানা বাঁধে৷ পরবর্তীতে কিছু লোকজন বোষ্ট নামক এই প্রডাক্টের বৈধ ডিস্ট্রিবিউটারের সাথে যোগাযোগ করেন৷
খবর দেওয়া হয় সেইলটেক্স দপ্তর, খাদ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তরে৷ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন নয়াপাড়া এলাকার বৈধ বোষ্টের ডিস্ট্রিবিউটার৷সকলের একটাই বক্তব্য ছিল,বোষ্টের এই ডিবি গুলি দুনাম্বারি৷ কারণ ডিবি গুলির উপরে এক্সট্রা স্টিকার দেওয়া রয়েছে৷ তৎক্ষণাৎ জনৈক ব্যবসায়ী ব্যস্ত হয়ে পরেন বোষ্টের ডিবি গুলি ঘটনা স্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যে৷ লোকজনদের বাধা উপেক্ষা করেও তিনি এই ডিবি গুলি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান এবং ঘটনা স্থল থেকে পালিয়েও যান বলে অভিযোগ৷কিছুক্ষন পর নিজেদের সেল টেক্সের লোক বলে দাবি করা দুজন ব্যক্তি ঘটনা স্থলে আসেন৷ এসে লোকজনদের সাথে কথা বলে চলে যান বিকে রোডের বেসরকারি শপিং মলের ভেতরে একটি বন্ধ কাপরের দোকানে৷ কাপরের দোকানটি বন্ধ করে নিচ্ছিল দোকানের একজন মহিলা কর্মচারী৷ সেই দোকানেই জনৈক ব্যবসায়ী এই বোষ্টের ডিবি গুলি রেখে গিয়েছিল৷
নিজেদের সেইলটেক্সের বলে দাবি করা দুজন কাপরের দোকানে প্রবেশ করে প্রচুর বোষ্টের ডিবি দেখতে পান৷পরবর্তীতে তারা কিছু সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে নিজেদের মধ্যে কিছু আলাপ আলোচনা করে দোকানের মালিক কোথায় জিজ্ঞাসা করে করে সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলেন৷এমনকি তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথেও কথা বলতে রাজি হচ্ছিলেন না৷ বারংবার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়,অভিযোগও জানানো হয়৷
কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন কর্মীরা একবারও ঘটনা স্থলে এসে এই শিশু খাদ্য সামগ্রীগুলী পরীক্ষা করে দেখারও প্রয়োজন মনে করেননি৷ দীর্ঘ সময় লোকজন ঘটনা স্থলে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একে একে চলে যান৷ যদি এই বোষ্টের ডিবী গুলি দুনাম্বারি হয়ে থাকে তাহলে এই দুধ খেয়ে যে শিশুদের ক্ষতি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ স্থানীয় লোকজন জানান,শিশু খাদ্য সামগ্রী যিনি বিক্রি করছিলেন তিনি এলাকার প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী৷ দপ্তরের একাংশদের সাথে গোপনে লেনদেন থাকতেই পারে সেই কারণেই কোন আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ৷ স্থানীয় জনগণ দাবী তুলছেন ঘটনাটি সুষ্ট তদন্তের৷

