নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,২১ সেপ্টেম্বর।। পদযাত্রার অনুমতি মিলছে না, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তৃণমূল কংগ্রেসের দায়ের করা আবেদন মঞ্জুর করেনি ত্রিপুরা হাই কোর্ট। কারণ, ত্রিপুরা সরকার আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম ও পূর্ব আগরতলা থানাধীন এলাকায় সমস্ত রাজনৈতিক সমাবেশ, মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মূলত, শারদোত্সব, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের ভীতি এবং গত কয়েকদিনে আগরতলা শহরে রাজনৈতিক কান্ডকারখানায় ত্রিপুরা সরকার ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয়েছে। আদালত তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে পদযাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় ত্রিপুরা সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি। ত্রিপুরা সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দেব আজ তৃণমূলের ওই মামলার নিস্পত্তি নিয়ে এমনটাই জানালেন।
এদিন তিনি জানান, জরুরি ভিত্তিতে ত্রিপুরা হাই কোর্ট তৃণমূল কংগ্রেসের মামলা গ্রহণ করেছিল। তাঁরা পদযাত্রার জন্য পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্ত হয়েছিল। আদালত মামলা গ্রহণ করে ত্রিপুরা সরকারকে নোটিশ দিয়েছিল। তাতে ত্রিপুরা সরকারের কাছে আদালত জবাব চেয়েছিল। তিনি বলেন, আজ ওই মামলা ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধের এজলাসে শুনানি হয়েছে।
তাঁর কথায়, পুলিশের তরফে গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিককে ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় জানানো হয়েছিল। কারণ, দীপাবলী পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক শোভাযাত্রা, সমাবেশ এবং মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ত্রিপুরা সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেলের কথায়, তিনটি কারণে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলা থানাধীন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ওই আদেশ বলবৎ থাকবে। তিনি বলেন, শারদোত্সব, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের ভীতি এবং গত ২/৩ সপ্তাহ ধরে আগরতলায় রাজনৈতিক কান্ডকারখানা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। কারণ, রাজনৈতিক গতিবিধিতে অশুভ শক্তি মাথা চারা দিয়ে উঠছে।
তাঁর সাফ কথা, ত্রিপুরা সরকার রাজ্যবাসীর অমঙ্গল কামনা করে না। তাই, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম আগরতলা থানাধীন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর পদযাত্রার অনুমতি নিয়ে ত্রিপুরা সরকারের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি। বিশেষ করে, ১৪৪ ধারায় হস্তক্ষেপে রাজি হয়নি। তাঁর দাবি, আদালত স্বীকৃতি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে পদযাত্রার অনুমতি না দেওয়ার কারণ বৈধ। তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের আবেদন ত্রিপুরা হাইকোর্ট মঞ্জুর করেনি।