নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,২১ সেপ্টেম্বর।। ত্রিপুরায় থানায় ঢুকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পুলিশী জেরার মুখোমুখি হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে আগরতলায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় গত ৮ আগস্ট খোয়াই থানায় ঢুকে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ দোলা সেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দলের সর্ব ভারতীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং স্থানীয় নেতা সুবল ভৌমিক ও প্রকাশ দাস পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে সুয়োমুটো মামলা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ জারি করেছে।
মামলায় তদন্তকারী আধিকারিক সত্যজিত মল্লিক জানিয়েছেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর সুবল ভৌমিক এবং প্রকাশ দাসকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু এবং কুণাল ঘোষকে ৬ সেপ্টেম্বর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে কুণাল ঘোষ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেবেন বলে নিশ্চিত করেছিলেন। সে মোতাবেক আজ তিনি হাজিরা দিয়েছেন। তবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন এবং ব্রাত্য বসু এখনো জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে যোগাযোগ করেননি।
সত্যজিত মল্লিক বলেন, আজ কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিক এবং প্রকাশ দাস থানায় হাজিরা দিয়েছেন। তাঁদের খোয়াই থানায় হাজিরা দেওয়ার বদলে নিরাপত্তার প্রশ্নে আগরতলায় এনসিসি থানায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কুণাল বাবু পুলিশী জেরা সমাপ্ত হওয়ার পর হটাত অসুস্থ হয়ে পরেন। থানার ভেতরেই তিনি বমি করেন। তখন আমরাই তাঁকে মাথায় জল ঢেলে সুস্থ করার চেষ্টা করেছি। এরপর তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আগরতলায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ-বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ ডা: শান্তনু সেন বলেন, আজ আগরতলায় পুলিশের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি পুলিশকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করেছেন। কিন্ত, জিজ্ঞাসাবাদ সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, কুণাল ঘোষের কয়েকবার বমি হয়েছে এবং রক্তচাপ প্রচন্ড বেড়েছে। তাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর সাফ কথা, পুলিশী জেরার সাথে কুণাল ঘোষের অসুস্থতার কোন সম্পর্ক নেই।