নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর।। বর্গাদার চাষীদের জন্য নতুন বিল আনছে ত্রিপুরা সরকার। তাতে, জমির মালিকের সাথে বর্গাদার চাষীর চুক্তি সম্পাদিত হবে। ওই চুক্তি সর্বোচ্চ ৯ বছর ১১ মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। তাতে, বর্গাদার চাষীরাও ঋণ নেওয়া, ভর্তুকি মূল্যে সার, বীজ পাওয়া, ফসল বীমা এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। আজ সচিবালয়ে একথা জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাঁর কথায়, আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে ত্রিপুরা সরকার দ্য ত্রিপুরা এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড লিজিং বিল, ২০২১ এবং দ্য ত্রিপুরা ল্যান্ড রেভিনিউ এন্ড ল্যান্ড রিফর্মস বিলের ১২তম সংশোধনী পেশ করবে। ত্রিপুরা মন্ত্রিসভা ওই নতুন বিল এবং সংশোধনী বিলের অনুমোদন দিয়েছে।
এদিন শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় বর্তমানে ৪ লক্ষ ৭২ হাজার কৃষক রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের কৃষি জমি রয়েছে। এছাড়া, ত্রিপুরায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার বর্গাদার চাষী রয়েছেন। সব মিলিয়ে ত্রিপুরায় কৃষি জমির মোট পরিমান ২ লক্ষ ৫৫ হাজার হেক্টর। এদিকে, ত্রিপুরায় কৃষিজাত পণ্য উত্পাদনের বছরভিত্তিক হিসেব দিয়েছেন তিনি। গত তিন বছরের হিসেব তুলে ধরে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৮.৩৬ লক্ষ মেট্রিক টন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৮.৫৫ লক্ষ মেট্রিক টন এবং ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৮.৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন কৃষিজাত পণ্য উত্পাদন হয়েছে।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় ৯.২৭ লক্ষ মেট্রিক টন কৃষিজাত পণ্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে, ৫৯ হাজার মেট্রিক টন কৃষিজাত পণ্যের এখনো ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, কৃষিতে স্বয়ম্ভর হওয়ার লক্ষ্যেই বর্গাদার চাষীদের স্বার্থে বিল আনবে ত্রিপুরা সরকার। তাতে, জমির মালিকের সাথে বর্গাদার চাষীর চুক্তি হবে। ওই চুক্তির ফলে ইজারা দং নথিভুক্ত হবে এবং তা চুক্তির মেয়াদ সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তাঁর বক্তব্য, জমির মালিকরা ওই বিল পাশ হলে বর্গাদার চাষীদের সাথে জমির চুক্তি করতে ভয় পাবেন না। ফলে, বর্গাদার চাষীরাও সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, এখন বর্গাদার চাষীরা ঋণ, ভুর্তুকি মূল্যে সার ও বীজ, ফসল বীমা এবং কিষান ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন না। কিন্ত, ওই পাশ হলে জমির মালিকদের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে বর্গাদার চাষীরাও সমস্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাঁরা ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন। তাঁর দাবি, সর্বোচ্চ ৯ বছর ১১ মাসের জন্য ওই চুক্তি সমাপ্ত হওয়ার পর পুণরায় চুক্তি করা যাবে।
তিনি জানান, মন্ত্রিসভা দ্য ত্রিপুরা এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড লিজিং বিল, ২০২১ এবং দ্য ত্রিপুরা ল্যান্ড রেভিনিউ এন্ড ল্যান্ড রিফর্মস ১২তম সংশোধনী বিলের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে ওই দুইটি বিল পেশ করবে ত্রিপুরা সরকার।