BRAKING NEWS

Trinamool government has imposed a debt burden : পশ্চিমবঙ্গে পরিবার পিছু ২.৪ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা চাপিয়েছে তৃণমূল সরকার, বাতিল করেছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ সরকারী পদ, তবু উন্নয়নের স্বপ্ন ফেরি ত্রিপুরায়, কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর।। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সরকারি দফতরে সাড়ে পাঁচ লক্ষ পদ বাতিল করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখন পর্যন্ত ৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। তাতে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর পরিবার পিছু ঋণের বোঝা চেপেছে ২৪০০০০ টাকা। অথচ, তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গের কান্ডারীরা ত্রিপুরায় এসে উন্নয়নের স্বপ্ন ফেরি করছেন। বাস্তবের মাটিতে পা না দিয়ে ত্রিপুরাবাসী-কে বিভ্রান্ত করছেন। আজ সচিবালয়ে এভাবেই তৃণমূল সরকারের অপশাসনের ফিরিস্তি তুলে ধরলেন ত্রিপুরার আইন ও শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তাঁর কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গে বেকারদের সর্বনাশ করে এবং সাধারণ মানুষের ঘাড়ে ঋণের বোঝা ছাপিয়ে ত্রিপুরার জন্য তৃণমূলের নেতাদের মায়াকান্না হচ্ছে।


আজ রতন বাবু বলেন, ত্রিপুরায় সম্প্রতি তৃণমূল নেতাদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। তাতে আমাদের আপত্তি নেই, কিন্ত নিজেদের অপশাসন ঢাকতে তৃণমূল ত্রিপুরাবাসীকে বিভ্রান্ত করছে। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সরকারি দফতরে সাড়ে পাঁচ লক্ষ পদ বাতিল করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বেকারদের ভবিষ্যত নিয়ে তাঁরা ছিনিমিনি খেলেছেন।
তিনি বলেন, কর্মসংস্থানে তৃণমূল নজীর স্থাপন করেছে। কারণ, দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয় শিক্ষদের ৮৭ হাজার পদ, কলকাতা পুলিশে ৪৫ হাজার পদ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে ৭৫ হাজার পদ, অগ্নি নির্বাপক দফতরে ৬৩০০ পদ, খাদ্য দফতরে ১২ হাজার পদ, স্বাস্থ্য দফতরে ২৩ হাজার পদ, লাইব্রেরিয়ান ৩৭০০ পদ এবং গ্রুপ-ডি ১ লক্ষ ৩৯ হাজার পদে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঋণের পরিমাণ ৬ লক্ষ কোটি টাকা। ফলে, জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গবাসীর পরিবার পিছু ঋণের বোঝা ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। অথচ, ওই তৃণমূল ত্রিপুরাবাসীকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন ফেরি করছে, কটাক্ষের সুরে বলেন তিনি।


তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় দেখানো তৃণমূলের স্বপ্নের সাথে বাস্তবের মিল খোজে পাওয়া মুসকিল। কারণ, তৃণমূল নেতৃত্ব ত্রিপুরাবাসীকে বিভ্রান্ত করছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোন প্রকল্পের অডিট হয় না। তৃণমূল সরকার এখন পর্যন্ত বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করেনি। ফলে, একের পর প্রকল্পের সূচনা হলেও বাস্তবে কতজন তাতে উপকৃত হচ্ছেন তা কারোর পক্ষে জানা সম্ভব নয়। এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরাবাসী অনেক সজাগ এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তাই, তৃণমূলের বুজরুকি সকলেই বুঝে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *