BRAKING NEWS

Recognition of the High Court judgment : হাই কোর্টের রায় মান্যতা দিয়ে সর্ব শিক্ষার শিক্ষদের মধ্যে টেট উত্তীর্ণদের নিয়মিতকরণ, অন্যদের সম কাজে সম বেতনের সুবিধা দেবে ত্রিপুরা সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর।। ত্রিপুরা হাই কোর্টের রায় মান্যতা দিয়ে সর্ব শিক্ষার শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁরা নিয়মিত শিক্ষকদের ন্যায় বেতনভাতা পাবেন। এমনকি টেট উত্তীর্ণ সর্ব শিক্ষার শিক্ষকরা নিয়মিত বেতনক্রম পাবেন। শুধু তাই নয়, এনসিটিই নির্দেশিকা মেনে তাঁদের যোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রেও ত্রিপুরা সরকার উদ্যোগ নেবে। সচিবালয় সুত্রে এমনটাই জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা হাই কোর্ট সর্ব শিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণে রায় দিয়েছে। ওই রায় কার্যকরে বিলম্ব হওয়ায় ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আদালত ত্রিপুরা সরকারের জবাব চেয়েছে।


সূত্রের দাবি, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্ব শিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাতে, দফতরের সচিব বিভিন্ন আইনি এবং প্রশাসনিক বিষয় তুলে ধরেছেন। আদালতের রায় সত্ত্বেও এনসিটিই নির্দেশিকা উলংঘন করে সর্ব শিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণে ভবিষ্যতে আইনী জটিলতা দেখা দেবে সেই আশঙ্কাও প্রকাশ পেয়েছে। কারণ, সর্ব শিক্ষার শিক্ষকদের মধ্যে কেবলমাত্র ৪৫ জন টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকিদের মধ্যে ৪৪৪২ জন সর্ব শিক্ষার চাকুরীর পাওয়ার পর ডিএলএড ডিগ্রী অর্জন করলেও এখনো পর্যন্ত তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাছাড়া, ১৯৫ জন শিক্ষক ডিএলএড কিংবা বিএড ডিগ্রী অর্জন করেননি। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল, তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন শুধুমাত্র মাধ্যমিক উত্তীর্ণ রয়েছেন। ফলে, শিক্ষার অধিকার আইন মেনে তাঁদের যোগ্যতা অর্জনে ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।


সূত্রের মতে, ৪৫ জন টেট উত্তীর্ণ সর্ব শিক্ষার শিক্ষক নিশ্চিত নিয়মিত হচ্ছেন। কিন্ত, বাকিদের সম কাজে সম বেতনের সুবিধা প্রদান করবে ত্রিপুরা সরকার। এক্ষেত্রে তাঁরা চাকুরী থেকে অবসর নেওয়ার পর পেনশনের সুবিধা পাবেন না। তবে, তাঁদেরও নিয়মিত করার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেবে ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরা হাই কোর্ট রায়ে বলেছে সর্ব শিক্ষার শিক্ষকদের নিয়মিতকরণে বিশেষ স্কিম তৈরী করুক রাজ্য সরকার। তাই, মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের দ্বাদশ মান সাথে ডিএলএড ডিগ্রী, দ্বাদশ মানে ৫০ শতাংশ যাদের নেই তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় সেই নম্বর অর্জনে সুযোগ এবং সর্বোপরি টেট উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তাঁদের ত্রিপুরা সরকার সহায়তা করবে।
সূত্রের দাবি, এনসিটিই নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষক পদে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হলে তাঁদের নিয়মিত করা সম্ভব হবে না। কিন্ত সম কাজে সম বেতনের সুবিধা তাঁরা পাবেন। এক্ষেত্রে চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়ার পর তাঁরা পেনশনের সুবিধা পাবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *