নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার৷ কৃষকদের কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকারের এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাণ্ড প্রকল্পে ত্রিপুরার জন্য যে ৩৬০ কোটি টাকার ঋণের সংস্থান করা হয়েছে তার জন্য রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন৷ আজ কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এবং কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্য সহ অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ক’ষিও ক’ষক কল্যাণ মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষকদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ এবং প্রকল্প বিষয়ক এক ভার্চয়াল সভায় অংশ নেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়৷ রাজ্য সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালী এই সভায় রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার অলক সহ ক’ষি ও ক’ষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব সি কে জমাতিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷
ভার্চুয়ালী এই সভার আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, বর্তমানে রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে ২৩টি ব্লকে ফার্মার প্রোডিউসার অর্গেনাইজেশন (এফপিও)-এর কাজ চলছে এবং সহসাই এই কাজ সম্পন্ন হবে৷ তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত রাজ্যের ২ লক্ষ ৪০ হাজার ২৬৩ জন কৃষককে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ এরমধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৮১৮ জন কৃষককে কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণের সুুবিধা পাওয়ার জন্য সংযুক্ত করা হয়েছে৷ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৪৫ জন কৃষককে কেসিসি লোনের জন্য অর্ন্তভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যের প্রায় ৩ লক্ষ কৃষকের ডাটা বেইস তৈরি করে কৃষি দপ্তরের সাথে জড়ে দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি এই ডাটা বেইসকে স্টেট ল্যাণ্ড রেকর্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে৷
এর ফলে রাজ্যের কৃষকরা খবই উপকৃৃত হবেন৷ তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার রাজ্যে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তৈলবীজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে৷ সম্পতি কেন্দ্রীয় সরকারের ভোজ্য তেল-পাম তেলের উপর জাতীয় মিশন সর্ম্পকে বলতে গিয়ে কৃষি মন্ত্রী জানান, সারা রাজ্যে বর্তমানে ৯৬.৫০ হেক্টর জমিতে পাম ওয়েলের চাষ হচ্ছে৷ আগামীতে পাম তেলের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি রাজ্যের কৃষকদের মুনাফা ব’দ্ধিরও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে কৃষি মন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন৷ ক’ষি মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে উৎপাদিত আনারস, কাঁঠাল সহ সুুগন্ধী লেবু দেশের বাইরে রপ্তানি হচ্ছে৷ কৃষকরা বর্তমানে বেশি পরিমানে এইগুলি উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন এবং লাভবানও হচ্ছেন৷ রাজ্য সরকার কৃষকদের সুুবিধার্থে ছোট ছোট কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করার পাশাপাশি পতিত জমির ব্যবহারেও উদ্যোগ নিচ্ছে বলে তিনি জানান৷ এদিনের ভার্চুয়াল সভায় বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রীগণ কৃষকদের কল্যাণে রাজ্যে রূপায়িত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির অগ্রগতি সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন৷

