গুয়াহাটি, ১ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : গুয়াহাটির লতাশিল থানার অন্তর্গত উজানবাজার এলাকায় নিজের ভাড়া বাড়ির শয়নকক্ষে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে এক কিশোরী। নিহত বছর ১৪-এর কিশোরীর নাম ডিম্পল কুমাপতি। সে গুয়াহাটি ক্লাব রোডে অবস্থিত স্কুল অ্যাঞ্জেলস অব গডস-এর অষ্টম শ্ৰেণির ছাত্ৰী ছিল। ঘটনা আজ বুধবার সকাল দশটার পর সংঘটিত হয়েছে। আততায়ীর সন্ধানে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।
লতাশিল থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, প্রথামিক তদন্তে তাঁদের ধারণা, মেয়েটিকে প্ৰেশারকুকার এবং শিলনোড়ার নোড়া দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডটি যখন ঘটেছে, তখন ডিম্পলের মা ও বাবা ঘরে ছিলেন না। অফিসার জানান, গত প্রায় ১০ বছর থেকে বাবা ও মায়ের সঙ্গে উজানবাজারের এই ভাড়া বাড়িতে থাকত ডিম্পল। অন্যদিনের মতো আজ সকালে মা ও বাবা তাঁদের দোকানের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলে ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে কোনও অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী তার শয়নকক্ষে ঢুকে খুন করেছে ডিম্পলকে। তিনি জানান, মেয়েটি তখন অনলাইনে স্কুলের ক্লাস করছিল।
বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের দল নিয়ে তিনি তাদের বাড়ি গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ডিম্পলকে উদ্ধার করেছেন। পুলিশের ধারণা, মেয়েটির সঙ্গে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়েছে আততায়ীর। ঘরে স্টিলের আলমিরা খুলে তছনছ করা হয়েছে। অন্যান্য আসবাবপত্রও ছিল এলোমেলো। ঘর থেকে একটি রক্ত-মাখা প্রেশারকুকার এবং একটি নোড়াপাথর উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিছানায় শয্যাশায়ী মৃত মেয়েটির মাথা থেকে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তাঁরা গিয়ে এই দৃশ্য দেখেছেন, বলেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার।
তিনি বলেন, ডিম্পলের মৃতদেহ গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসলে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট হবে। তবে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল কিনা, তা এখনই বলতে পারছন না অফিসার। আততায়ীকে শনাক্ত করে তাকে পাকড়াও করা এখন পুলিশের প্রথম কাজ, বলেন পুলিশ অফিসার।