নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৯ মার্চ৷৷ উত্তরজেলার চুড়াইবাড়ি কদমতলা-রাণীবাড়ি পিএমজিএসওয়াই সড়কটির কাজ হচ্ছে নিম্নমানের৷ অভিযোগ এলাকাবাসীর৷ পিএমজিএসওয়াই অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পটি হল কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন৷ এই প্রকল্পে কদমতলা -রাণীবাড়ি পর্যন্ত ১৬৬০১ কিমি সড়কটির কাজ দীর্ঘ তালবাহানার পর ধর্মনগরের জনৈক ঠিকেদার শঙ্কর চৌধুরী দুমাস পূর্বে কাজটি শুর করে৷ রাস্তাটির ওপরে পাকা মেটেলিং কার্পেটিং, এবং কালভার্ট ধরা রয়েছে কাজটির মধ্যে৷ এঠিকেদার শঙ্কর চৌধুরী কদমতলা থেকে রাণীবাড়ি সড়কটির অর্থাৎ ১২৬০১ কিমি দৈর্ঘ্যের বরাদ্দকৃত অর্থ পান ৬৪৭ ৪৬ লাখ টাকা৷ সাথে পাঁচবছরের সংস্কারের খরচ ৮৮৭৯ লাখ টাকা৷ কাজের উল্লেখ থাকে এক বৎসরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে এবং পাঁচ বৎসর সংস্কার করতে হবে৷ তথাপি কাজটি শুরু হয় ০৪/১২/১৪ এবং সমাপ্তির তারিখ ০৩/১২/১৫ পর্যন্ত৷ কাজটি রূপায়ণের দায়িত্বে পিএমজিএসওয়াই কুমারঘাট সার্কেল অর্থাৎ ২০১৪ সালে ঐ বিশাল অর্থের বরাদ্দকৃত কাজটি পান শঙ্কর চৌধুরী নামের জনৈক ঠিকেদার৷ তারপর শুরু হয় ঠিকেদার বাবুর কাজের কচ্ছপ গতি৷ এলাকাবাসী বার বার অভিযোগ করে ক্লান্ত৷ গত দুমাসে অত্যন্ত নিম্মমানের মেটেলিং এর কাজ শুরু করেছে ঐ ঠিকেদার সংস্থা৷ অত্যন্ত নিম্নমানের কার্পেটিং হচ্ছে৷ রাস্তাটির কাজে বিটুমিন, থিকনেস সঠিকভাবে হচ্ছে না৷ এমনকি ঠিকেদার রাস্তার প্রস্থের সঠিক ভাবে হচ্ছে না৷ এমনকি ঠিকেদার রাস্তার প্রস্থের মাপ ঠিক রাখার জন্য মেটেলিং ছাড়াই মাটির উপরে কার্পেটিং করে যাচ্ছে৷ এক সপ্তাহের পূর্বের কার্পেটিং ফেটেযাচ্ছে, কোথাও আবার উঠে যাচ্ছে৷ গতকাল কাজ চলাকালীন কদমতলা ও সরসপুরের একাংশ জনগণ রাস্তায় নেমে ঠিকেদারের লোকজনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু কডে৷ জনগণের দাবি রাস্তার কাজ ভালোভাবে না করলে তারা কাজ বন্ধ করে দেবে? পিএমজিএসওয়াই এর সরকারি আধিকারিক আসতে হবে৷ ঠিকেদারের মর্জিমাফিক দুনাম্বারি কাজ করা চলবে না৷ তখন সংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে প্রতিবাদকারী জনগণ নিম্নমানের কাজের নিদর্শন দেখাতে থাকেন৷ কেউ হাত দিয়ে পিচ তুলছে, কেউ পা দিয়ে আবার কেউ কেউ বাঁশের টুকরো দিয়ে নিম্নমানের কার্পেটিং তুলে দেখাতে লাগে সংবাদ কর্মীদের৷ গ্রামবাসীদের পক্ষে শীতাংশু নামথ, বিপ্লব চৌধুরী, সুবোধ নাথরা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন৷ এ সময় সুকল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়৷ তাদের দাবি কাজের গুণগতমান ভালো না হলে চলমান কাজ বন্ধ করে দেবে৷ কারণ নিম্নমানের কাজ হলে পুনরত্রায় কদমতলা রাণীবাড়ি সড়কটি বেহাল হয়ে পড়বে৷ এই জরাজীর্ণ রাস্তাটির মেরামতির জন্য বিগত কয়েকবছর ধরে গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ, ডেপুটেশান সহ বহু আন্দোলন করেছিলেন৷
উল্লেখযোগ্য যে, কদমতলা থেকে রাণীবাড়ি রাস্তাটি ধরে ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকা এবং তিনটি চা বাগান এলাকার কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত৷ তাছাড়া এই সড়কটি অসম সীমান্তে গিয়ে সংযুক্ত হয়েছে৷ পাশাপাশি গ্রামবাসীদের আরো অভিযোগ ঐ ঠিকেদারের বাবু নাকি অর্থের থলি নিয়ে ঘুরে বেড়ান৷ উচ্চ পদস্থ আধিকারিক থেকে নিচু স্তরের কর্মচারীকে অর্থ দিয়ে বস করে নিতে উনি সিদ্ধহস্ত৷ যখন খুশি তার অর্থের ভান্ডার খুলে দেন বলে অভিযোগ৷ গ্রামবাসীরা আরো জানান যদি সংশ্লিষ্ট দপ্তর নির্মাণ করা রাস্তা ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ না করেন এবং নির্মাণ সামগ্রী উন্নতমানের না হয় তাহলে দু এক দিনের মধ্যে তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করবেন৷ এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঐ মুখোশধারী ডাকাত ঠিকেদার শঙ্কর চৌধুরীর উপর কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে৷
2017-03-20