হত্যা-মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাথারকান্দির কনকপ্রভা ও তাঁর ছেলে রতনের

করিমগঞ্জ (অসম), ১০ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে করিমগঞ্জ জেলান্তর্গত পাথারকান্দির দোহালিয়া দ্বিতীয় খণ্ড গ্রামের কনকপ্রভা দাস এবং তাঁর ছেলে রতন দাসের। ২০১৪ সালের একটি হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে আজ শুক্রবার তাদের দুজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন করিমগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ।

জানা গেছে, গত ২০১১ সালে ধর্মীয় রীতি মেনে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নিভিয়া এলাকার ঝুমকি দাসের বিয়ে হয়েছিল পাথারকান্দি থানাধীন দোহালিয়া দ্বিতীয় খণ্ড গ্রামের রতন দাসের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের তিন বছর পর রহস্যজনকভাবে দোহালিয়ার বাড়ি থেকে ঝুমকির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এর পর এ নিয়ে আইনের আশ্রয় নেন মৃতের ভাই বিক্রমজিত দাস।

বিক্রমজিতের অভিযোগ, যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় তাঁর বোনের স্বামী রতন দাস এবং শাশুড়ি কনকপ্রভা দাস পরিকল্পিতভাবে বিষ খাইয়ে বোন ঝুমকিকে হত্যা করেছে।

কয়েক বছর শুনানির পর আজ করিমগঞ্জের জেলা ও দায়রা আদালত এই মামলার চূড়ান্ত রায় দান করে। এতে দুজনই দোষী প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। জানা গেছে, নিহত ঝুমকির পরিবারের পক্ষে কৌঁশুলি ছিলেন পিপি মুকুন্দলাল কৈরি এবং অভিযুক্তদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী দেবাশিস চক্রবর্তী ও বিভাস দেব।