নয়াদিল্লি, ৬ জুন : জাতীয় ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি কমিশনের (এনসিআইএসএম) চেয়ারপার্সন ড. বৈদ্য জয়ন্ত দেওপুজারির নিয়োগ বাতিলের দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ এনসিআইএসএম-এর দাখিল করা বিশেষ অনুমতি আবেদনের (এসএলপি) শুনানিতে এই নির্দেশ দেয় এবং ড. বেদ প্রকাশ ত্যাগী ও ড. রঘুনন্দন শর্মা-সহ সংশ্লিষ্ট পক্ষদের নোটিশ পাঠিয়েছে।
গত ৬ জুন দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, এনসিআইএসএম-এর চেয়ারপার্সন হিসেবে ড. দেওপুজারির নিয়োগ আইনবিরুদ্ধ। কারণ তিনি এনসিআইএসএম আইন, ২০২০-এর ৪(২) ধারায় নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করেননি। ওই আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, চেয়ারপার্সন পদে নিয়োগের জন্য ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের কোনো শাখায় স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং অন্তত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যার মধ্যে ১০ বছর ‘লিডার’ হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, ড. দেওপুজারির কাছে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি থাকলেও, তা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমতুল্য নয়। আদালতের মতে, “স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বলতে বোঝানো হয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরের নির্দিষ্ট কোর্স সম্পন্ন করার পর প্রদত্ত ডিগ্রি; পিএইচ.ডি. গবেষণাভিত্তিক ডিগ্রি, যা শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হয় না।”
এছাড়া, ড. দেওপুজারির ১১ বছরের বেশি সময় ধরে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান থাকার অভিজ্ঞতাকেও ‘লিডার’ হিসেবে গণ্য করতে অস্বীকার করে হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে জানিয়েছে, পিএইচ.ডি. ডিগ্রি আইন অনুযায়ী নির্ধারিত স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমতুল্য কি না, সেই প্রশ্নটি খতিয়ে দেখা হবে।