আমেরিকার গট ট্যালেন্ট-এ ইতিহাস গড়তে চলেছে সিকিমের রক ব্যান্ড ‘গিরিশ অ্যান্ড দ্য ক্রনিকলস’

গ্যাংটক, ৩ জুন : ভারতের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত—বিশ্ববিখ্যাত রিয়্যালিটি শো ‘আমেরিকার গট ট্যালেন্ট’-এ অংশ নিতে চলেছে সিকিমের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘গিরিশ অ্যান্ড দ্য ক্রনিকলস’। এই ব্যান্ড হতে চলেছে ভারতের প্রথম রক ব্যান্ড, যারা এই বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করার সুযোগ পেয়েছে।

জিএটিসি ব্যান্ডের সদস্যরা চলতি বছরের মার্চ মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডে এজিটি-এর অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটির ২০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ মরসুম শুরু হয়েছে, এবং ব্যান্ডের বহু প্রতীক্ষিত পারফরম্যান্সটি ৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ৪ জুন ভারতে সম্প্রচারিত হবে। এটি দেখা যাবে ইউটিউব, পিকক, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম-সহ একাধিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।

‘আমেরিকার গট ট্যালেন্ট’ শোটি বিশ্ববিখ্যাত গট ট্যালেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি প্রখ্যাত সংগীত প্রযোজক সাইমন কাউয়েল-এর সৃষ্টি। এই অনুষ্ঠান বহু প্রতিভাবান শিল্পীকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছে, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রের নৈপুণ্য নিয়ে এই মঞ্চে উঠে এসেছেন। চলতি মরসুমে বিচারক প্যানেলে রয়েছেন সাইমন কাউয়েল নিজে, যিনি কড়া অথচ খাঁটি সমালোচনার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন হাওই ম্যান্ডেল, একজন অভিজ্ঞ কৌতুক অভিনেতা এবং বহুদিনের এজিটি বিচারক। সোফিয়া ভারগারা, যিনি ‘মডার্ন ফ্যামিলি’ টিভি সিরিজে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত, বিচারকের আসনে তাঁর তারকাখ্যাতি ও আবেদন নিয়ে উপস্থিত। এছাড়া রয়েছেন মেল বি, যিনি বিখ্যাত পপ ব্যান্ড ‘স্পাইস গার্লস’-এর ‘স্ক্যারি স্পাইস’ নামে খ্যাত। এই শক্তিশালী ও বৈচিত্র্যময় বিচারক দল এজিটি-এর ২০তম বর্ষপূর্তির মরসুমকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

শো-এর উপস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন টেরি ক্রুজ, যিনি তাঁর উদ্দীপনাময় উপস্থিতি ও উষ্ণ আচরণে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন।
গ্যাংটক ভিত্তিক ব্যান্ড জিএটিসি দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসিক হার্ড রক ধারার সংগীত পরিবেশন করে আন্তর্জাতিক স্তরে ভক্তদের মন জয় করেছে। ব্যান্ডটি রক সঙ্গীতের স্বর্ণযুগ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করে থাকে এবং তাঁদের এনার্জেটিক লাইভ পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত।

জিএটিসি-এর এজিটি-তে অংশগ্রহণ শুধু ব্যান্ডটির জন্য নয়, বরং সমগ্র ভারতীয় রক সঙ্গীতের ক্ষেত্রেই একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বিশ্বমঞ্চে এই সুযোগ রক ঘরানার প্রতি শ্রোতাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে।

এই অনন্য অর্জনের মাধ্যমে গিরিশ অ্যান্ড দ্য ক্রনিকলস আবারও প্রমাণ করল—সংগীত কোনো সীমান্ত মানে না, এবং ভারতের প্রতিভা বিশ্ববাসীর মঞ্চে কেমন করে উজ্জ্বল হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *