BRAKING NEWS

অভিষেকের সংস্থার আটটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু, জানাল ইডি

কলকাতা, ২ জানুয়ারি (হি.স.): প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত মামলায় নতুন মোড়। মঙ্গলবার আদালতে ইডি জানিয়ে দিল, এই দুর্নীতির সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ থাকা সংস্থা ‘লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার অধীনে থাকা আটটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ জড়িত। মোট সাড়ে ৭ কোটি টাকার দুর্নীতি খুঁজে পেয়েছে ইডি। সেসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়ে ইডির বক্তব্য, এই সাড়ে ৭ কোটি টাকার পুরোটাই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার সম্পত্তি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার। ওইদিন ইডির জয়েন্ট ডিরেক্টরকে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার সিইও পদে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। যাঁকে ‘কালীঘাটের কাকু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডল।

এই মামলার প্রেক্ষিতেই অভিষেকের আয়ের উৎস জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি সিংহ। অল্প কথায় মুখবন্ধ খামে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। গত ১৪ ডিসেম্বর ইডির তরফে সেই জবাব জমা পড়ে হাই কোর্টে। অভিষেকের সংস্থা লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য অনেক আগেই ইডিকে বিশদে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিংহ।

লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ছ’জন ডিরেক্টরের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ, সংস্থার লেনদেন, তার মূল্য, এই সংস্থার কারা উপভোক্তা, তাঁদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সংস্থার রোজকার কাজ কে দেখতেন, সিইও অভিষেকের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, সংস্থার সব কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কারা, কবে সংস্থায় যোগ দিয়েছেন, কেন সংস্থার ঠিকানা পরিবর্তন এবং তদন্ত নিয়ে কার কাছে ইডি সাহায্য চায়, তা জানাতে বলা হয়েছিল হাই কোর্টে।

এ বিষয়ে অভিষেকের কাছে নথি চাওয়া হলে কিছু দিন আগেই ইডিকে তাঁর সংস্থা সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়ে এসেছিলেন অভিষেক। তার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার বিষয়টি আদালতে জানায় ইডি। তারা যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে এবং লেনদেন বন্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে, তা জানায় ইডি।

এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য় ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইডিকে সময় বেঁধে দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু ইডি এদিন মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করে জানায়, তদন্ত চলাকালীন প্রচুর তথ্য মিলেছে। সেই কারণে তদন্ত এখনও শেষ করা যায়নি। আর একটু সময় লাগবে। এর পরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডির জয়েন্ট ডিরেক্টরকে সশরীরে বুধবার হাজিরা দেওয়ার কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *