নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ বিচারপতি বসুর

কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : এক শিক্ষিকা আদালতে দাঁড়িয়ে মেনে নিয়েছিলেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় তাঁর চাকরি হয়েছিল। নিয়ম মেনে ওই শিক্ষিকা চাকরি পাননি বলে স্বীকার করে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। এর পরেই ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতির। চাকরি কারও ‘পৈতৃক সম্পত্তি’ নয়। আন্দোলন করলেই কি চাকরি পাওয়া যায়!

‘নিয়ম বহির্ভূত ভাবে’ এক শিক্ষিকার চাকরি পাওয়া নিয়ে সোমবার এমন মন্তব্যই করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। নিশানায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি বসু জানান, কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই শিক্ষিকার চাকরির সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, এমন ঘটনা আরও ঘটেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধাতালিকার অপেক্ষাসারণীতে উপরের দিকে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন প্রিয়ঙ্কা দত্ত সমাদ্দার নামে এক মহিলা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তালিকায় ৩৩ নম্বরে নাম ছিল। কিন্তু তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে তালিকায় ৫৩ নম্বরে থাকা সরমা ঘোষকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সরমাকে সুপারিশপত্র দিয়েছিল এসএসসি। ওই বছর ২০ মার্চ তাঁকে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মামলকারী প্রিয়ঙ্কার দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং অবস্থান বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন সরমা। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু সেই সময় আন্দোলনকারীদের কয়েক জনকে ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন সরমাও। তার পরেই তিনি চাকরির সুপারিশপত্র পান। পরে সরমাকে হাই কোর্ট এই মামলায় যুক্ত করলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে নেন। সোমবার সরমা আদালতে আবার এ কথা জানানোর পর ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ‘‘চাকরি কি কারও পৈতৃক সম্পত্তি! আন্দোলন করলেই কি চাকরি পাওয়া যায়!’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *