অসমের পাহাড় লাইনে গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেসে ছিনতাইবাজের কবলে এক মহিলা সহ দুই রেলযাত্রী

হাফলং (অসম), ২৫ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : পাহাড় লাইনে গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেস ট্রেনে আবারও ছিনতাই। এবার দুই রেলযাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ও ব্যাগ ছিনতাই করে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে পড়েছে দুষ্কৃতী।

গুয়াহাটি-শিলচরের মধ্যে চলাচলকারী এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘন ঘন সংগঠিত হচ্ছে। এর পরও রেল প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, যাত্রী সুরক্ষার বিষয়ে রেল বিভাগ যতই বড় বড় কথা বলুক না-কেন, রাতে গুয়াহাটি-শিলচরের মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনে যাত্রী সুরক্ষা বলতে কিছুই নেই। গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেসে রাতের বেলা কখনও দেখা মেলে না রেল পুলিশের। তার উপর এই ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিরাও বসে থাকেন বাতানুকূল কামরায়, অভিযোগ বিস্তর।

এই অবস্থায় যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে কোনও চিন্তা ভাবনাই করছে না রেল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার মধ্যরাতে গুয়াহাটি থেকে শিলচরের উদ্দেশ্যে ছাড়ে এক্সপ্রেস ট্রেনটি। শনিবার ভোরে ট্রেনটি লামডিং থেকে শিলচরের উদ্দেশ্যে ছাড়ার পরই ট্রেনের এস ৭ এবং এস ২-তে ছিনতাইয়ের ঘটনা সংগঠিত হয়। ট্রেনটির এস ৭ থেকে এক যাত্রীর মোবাইল ছিনতাই করে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে পড়ে ছিনতাইবাজ। একই সময় ট্রেনটির এস ২-এর যাত্রী করিমগঞ্জের লক্ষ্মীচরণ রোডের বাসিন্দা সুদীপা দাসের ব্যাগ ছিনতাই করে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে পড়ে ছিনতাইবাজ।

ট্রেনের ওই মহিলা যাত্রী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্বামীকে নিয়ে গুয়াহাটি থেকে গুয়াহাটি-শিলচর এক্সপ্রেস ট্রেনে বদরপুর ফিরছিলেন। ট্রেনটি ভোর চারটে নাগাদ লামডিং থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই তাঁর মাথার নীচ থেকে ব্যাগ কেড়ে নিয়ে ছিনতাইবাজ চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপিয়ে নেমে পড়ে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাগে মোবাইল ফোন সহ টাকা ও বিভিন্ন দরকারি নথিপত্র ছিল।

এদিকে রাতের ওই ট্রেনে প্রায় এ ধরনের ঘটনা সংগঠিত হলে এ নিয়ে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর উল্টে রেলযাত্রীদের বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। তাই ট্রেনে সবকিছু খুইয়েও যাত্রীরা রেল পুলিশকে অভিযোগ জানাতে অনীহা প্রকাশ করেন। যার দরুন রাতের ট্রেনগুলিতে এভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে চলছে বলে মনে করেন অভিযোগারীরা।